প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
এ অবস্থায় দাঁড়িয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত জেলা পরিষদ সরকারিভাবে বর্ষা শুরু হওয়ার আগে সেতুগুলির ভিতের কাজ দ্রুত শেষ করে ফেলেতে চাইছে। যাতে বর্ষার মধ্যেও সেতুগুলির উপরের অংশের কাজ কোনওভাবেই থেমে না থাকে। জেলার ছ’টি ব্লকের সুখানিঝোরা, হাঁড়িভাঙা, ঘোরামারা, বুড়ি তোর্ষা, বিরবিটি ও ভোলানালা এই ছ’টি ঝোরা ও নদীর উপর সেতুগুলি তৈরি হচ্ছে। ওই সাতটি সেতুর জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় দু’কোটি টাকা। সেতুগুলির দৈর্ঘ্য সর্বনিম্ন ১২ মিটার থেকে সর্বোচ্চ ৬০ মিটার পর্যন্ত রয়েছে। মার্চ মাসে লকডাউন শুরুর আগেই ওগুলির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের শীলা দাস সরকার বলেন, লকডাউনের জন্য মাঝপথে সেতুগুলির নির্মাণ কাজ থেমে গিয়েছিল। সরকার সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। এখন সীমিত শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করা গেলেও বর্ষার আগে কোনওভাবেই সেতুগুলির কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না।
২০২০-২১ নতুন আর্থিক বছর শুরুর আগেই পরিষদের সেতুগুলির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের টটপাড়ায় হাঁড়িভাঙা, কালচিনির ভার্নাবাড়িতে ভোলানালা ঝোরা, মাদারিহাটের বান্দাপানিতে বিরবিটি, ফালাকাটার কুঞ্জনগরে বুড়ি তোর্ষা ও আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের সুখানিঝোরার উপর সেতু তৈরি হচ্ছে। আর কুমারগ্রামের ঘোরামারা ও সংলগ্ন আরএকটি ঝোরার উপর আরও দু’টি সেতু তৈরির কাজ চলছে।
অঙ্কেরর নিয়মে ধরেই নেওয়া যায় বর্ষার আগে কোনওভাবেই সেতুগুলির নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে না। ফলে এবারও জেলার ওইসব ঝোরা তীরবর্তী বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এ নিয়ে ওসব এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভও শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় জেলা পরিষদের সামনে এখন একটাই লক্ষ্য, বর্ষার আগে যেনতেনভাবে সেতুগুলির নীচের অংশের মাটির কাজ তড়িঘড়ি শেষ করে ফেলা।
জেলা পরিষদের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মলয় গোস্বামী বলেন, বর্ষা শুরু হয়ে গেলে সেতুর নীচের অংশের মাটির কাজ আর করা যাবে না। সেইজন্য বর্ষার আগেই ভিতের কাজ শেষ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। মাটির অংশের কাজ শেষ হয়ে গেলে বর্ষার সময় সেতুর উপরের অংশের কাজ আটকে থাকবে না।