প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
এ ব্যাপারে মাথাভাঙা মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিন্দিতা দাস বলেন, ওই শ্রমিকের মৃত্যু সঙ্গে করোনার সম্পর্ক না থাকারই সম্ভাবনা বেশি। তবে আমরা মৃতদেহের সোয়াব টেস্ট করব। সেইজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই পরিবারের ছয় সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গজেন বর্মন বলেন, মৃত ওই ব্যক্তি ক’দিন আগেই বিহারের একটি ইটভাটা থেকে বাড়িতে ফেরেন। আমিও শুনেছি, ওঁর শ্বাসকষ্ট সহ করোনার উপসর্গ ছিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই গ্রামবাসীরা করোনা আতঙ্কে আছেন। স্বাস্থ্য আধিকারিককে বলেছি, দ্রুত ওই রিপোর্ট আমাদের জানাতে।
স্থানীয় ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ মে ওই ব্যক্তি বিহারের একটি ইটভাটা থেকে স্বপরিবারে বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে আসার আগে রাস্তায় বেশ কয়েক জায়গায় তাঁদের সকলেরই থার্মাল স্ক্রিনিংও করা হয়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর পরিবারটিকে বাড়িতে থাকা নির্দেশ দিয়েছিল। মৃত শ্রমিকের পরিবারের দাবি, ২১ তারিখ বাড়িতে ঢোকার পর তিনি বাড়ির বাইরে যাননি। শনিবারই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সময়ও মেলেনি। রাতেই মারা যান। রাতে আশেপাশের লোকজন বিষয়টি জেনে যান। সকালে গোটা গ্রামে তা ছড়িয়ে পড়ে। করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই এলাকায় রটে যায়। মৃতদেহ সৎকার করানোর জন্য ওই বাড়িতে কেউ যেতে চাননি। এরপরেই গ্রামের লোকজন থানায় এবং ব্লক হাসপাতালে খবর দেয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই বাড়িতে চলে আসেন। যদিও স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, পরিবারটি তাঁদের জানিয়েছে মৃত ব্যক্তির অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি সেদিন পেট ব্যাথাও ছিল। ওই দিন প্রচুর মাংস খেয়েছিলেন বলে তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন। যদিও কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায়নি প্রশাসন। গ্রামবাসীদের আতঙ্ক দূর করতে এবং করোনাতেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হতে মৃতদেহের সোয়াব সংগ্রহের জন্য কোচবিহার মেডিক্যালের মর্গে দেহটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের দাবি, গ্রামে ভিনরাজ্য থেকে আসা অনেকেই বাড়িতে না থেকে দিব্যি বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের প্রশাসন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। তাই ওসব ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের সরকারি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর দাবি তোলেন গ্রামবাসীরা।