মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল কুমার রায়, হৃষিকেশ রায় বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। নতুন রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। এতে এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে তা ঠিক, কিন্তু কাজের জন্য ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল করলেই পুরো এলাকা ধুলায় ঢেকে যাচ্ছে। জাতীয় সড়কের পাশের বাড়ি বা দোকানে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এরআগেও একাধিক বার আমরা এবিষয়ে প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি তাঁরা আমাদের জানায় তিন থেকে চার বার জাতীয় সড়কে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রথম প্রথম জল দেওয়া হলেও এখন আর জল দেওয়া গাড়ির দেখা নেই। মাঝেমধ্যে একবেলা জল দেয়। আবার কিছু দিন তাদের দেখা পাওয়া যায় না। এদিকে ধুলার কারণে বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করা যায় না। শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে অনেকের। আমাদের দাবি চার বেলা জাতীয় সড়কে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আর তা না হলে এমন অবরোধ চলতে থাকবে।
অপর দিকে এদিন অবরোধের খবর পেয়ে ওই এলাকায় যান হাইওয়ে ট্রাফিক ওসি মোস্তফা হুসেন। তিনি এদিন বিষয়টি দেখবেন বলে গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেন। তিনি এনিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। এরপর গ্রামবাসীরা অবরোধ তুলে দেন।
ময়নাগুড়ি ব্লকের জাতীয় সড়কে ধুলার সমস্যা নিয়ে এর আগেও বহু জায়গায় একাধিকবার পথ অবরোধ হয়। সেই সময় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল এই ধুলার সমস্যা সমাধানে জাতীয় সড়কে জল দেওয়া হবে। কিন্তু এর পরেও সব জায়গায় জল দেওয়া হচ্ছে না। ফলে জাতীয় সড়কের আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা ধুলা নিয়ে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়েছেন। এনিয়েই এদিন ফের ক্ষোভে ফেটে পড়েন হুসলুরডাঙার বাসিন্দারা। তারা দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন। সমস্যা না মিটলে আবারও জাতীয় সডক অবরোধ করার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। এবিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের টেকনিক্যাল ম্যানেজার প্রদ্যুৎ দাশগুপ্তকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।