মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জগদ্ধাত্রী সরকার বলেন, এদিন স্টাফ কাউন্সিলের মিটিং করা হয়েছে। ওই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আগের সিদ্ধান্তের কোনও পরিবর্তন হবে না। যারা সব বিষয় বা চার-পাঁচটি বিষয়ে ফেল করেছে, তাদের কাউকেই পরীক্ষার জন্য অ্যালাউ করা হবে না। যদি কোনও তরফ থেকে আমাদের ওই ছাত্রীদের পাশ করানোর বিষয়ে বলা হয় সেক্ষেত্রে আমরা লিখিত নির্দেশ চাইব। আমাদের লিখিতভাবে নির্দেশ দিলে তারপর বিষয়টি নিয়ে ভাবা হবে। তিনটে মেয়ের আন্দোলনের জন্য ৩৮ জনকে পাশ করানো সম্ভব?
এবিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) নিতাইচন্দ্র দাসকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব। কিন্তু পরে তিনি মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। ফলে তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, এবিষয়ে আজকে আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
ইসলামপুরের মহকুমা শাসক অলংকৃতা পাণ্ডে বলেন, স্কুলের এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। অভিভাবকেরা যদি খাতা দেখার পরেও সন্তুষ্ট না হন, আমরা চেষ্টা করব তাঁদের বোঝানোর। যারা কম নম্বর পেয়েছে, তাদের পাশ করানো উচিত নয়।
একজন অভিভাবক আজাদ হুসেন বলেন, ছাত্রীরা কয়েক দিন অনশন করার পরেও কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদনে কর্ণপাত না করায় আমার মেয়ে ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণীর ২৩০ জন টেস্ট পরীক্ষায় বসেছিল। তাদের মধ্যে ৪২ জন ফেল করে। পরে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে ৪ জনের নাম তোলা হয়েছে। বর্তমানে ফেল করা ছাত্রীর সংখ্যা ৩৮ জন। এর পরেই বিভিন্ন অভিভাবকরা টেস্টে তাঁদের সন্তানদের পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ তাতে তাদের সিদ্ধান্ত বদলায়নি। তারপরে ফেল করা পড়ুয়াদের একাংশের স্কুলের সামনে পিডব্লুডি মোড়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বসে পথ অবরোধ করে। তাদের দাবি ছিল, তাদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। পরে পুলিসের পদক্ষেপে অবরোধ উঠলেও স্কুল কর্তপক্ষ তাতে গুরুত্ব দেয়নি। এরপর জনা কয়েক পড়ুয়া অবস্থান আন্দোলন শুরু করে। শনিবার রাতে তাদের অভিভাবকদের একাংশ বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর দ্বারস্থ হয়। করিম সাহেব উদ্যোগ নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে এবিষয়ে পদক্ষেপ করতে বলেন। এর ফলে অভিভাবকদের একাংশ ভেবেছিল যে এদিন হয়তো স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত বদলাবে। কিন্তু স্কুল কর্তপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়ে গিয়েছে।