মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, অন্তোষ রায়ের ডিজিটাল রেশন কার্ডে তাঁর নামের জায়গায় ভুলবশত সন্তোষ রায়ের নাম চলে এসেছে। এদিকে বাস্তবিকই অন্তোষবাবুর দাদার নাম সন্তোষ রায়। বেশ কিছু দিন আগে অন্তোষবাবু জানতে পারেন যে তাঁর নামে ঘরের জন্য এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু নাম ভুলের কারণে সেই টাকা তার দাদা সন্তোষবাবুর অ্যাক্যাউন্টে চলে গিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে দাদার কাছে টাকা ফেরত চান তিনি। কিন্তু দাদা সন্তোষবাবু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় নেতাদের কাছে অন্তোষবাবু বিষয়টি জানালে তাঁরা সালিশি সভা ডেকে টাকা দু’ভাগে ভাগ করে দিতে চায়। তাতে আবার রাজি নন অন্তোষবাবু। তাই পুরো টাকা ফেরতের দাবিতে তিনি বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতেও কোনও কাজ না হলে সোমবার জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে অন্তোষ রায়ের পরিবার।
জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত করে রির্পোট পেশ করার জন্য তপনের বিডিওকে নির্দেশ দিয়েছি।
পেশায় মৃৎশিল্পী অন্তোষ রায় বলেন, আমার দাদার নামে টাকা ঢুকেছে। কিন্তু প্রাপকের তালিকায় তো আমার পরিবারের নাম রয়েছে। কিভাবে টাকা দাদার অ্যাকাউন্টে ঢুকল বুঝতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে বিডিও এবং জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এবিষয়ে সন্তোষ রায় বলেন, আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। কিভাবে ঢুকছে, তা আমার জানা নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তপন ব্লকের আজমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বজরাপুকুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত সুবোধ রায়ের চার ছেলে। সন্তোষ, অন্তোষ, স্বপন ও মিলন। সন্তোষ ও অন্তোষ দু’জনই মৃৎশিল্পী। সন্তোষবাবুর নামেএপিএল কার্ড রয়েছে। অন্তোষবাবুর নামে রয়েছে বিপিএল কার্ড। তবে ভুলবশত অন্তোষবাবুর নামে যে কার্ড রয়েছে তাতে সন্তোষবাবুর নাম চলে এসেছে বলে দাবি। এরই মধ্যে অন্তোষবাবুর নামে বাংলা আবাস যোজনায় ঘরের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু যেহেতেু ভুলবশত নামের জায়গায় সন্তোষ লেখা রয়েছে তাই গোলমাল পাকে। তালিকায় নামের জায়গায় সন্তোষ লেখা থাকলেও তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামের জায়গায় কিন্তু লেখা রয়েছে অন্তোষবাবুর স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের নাম। পরে খোঁজ নিয়ে অন্তোষবাবু জানতে পারেন, তাঁর জন্য এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু নাম সন্তোষবাবুর থাকায় প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ইতিমধ্যে তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে। তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ ওঠে অন্তোষবাবুর। তিনি টাকা ফেরতের দাবি জানিয়ে বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। সালিশি সভায় টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন সন্তোষবাবু বলে অভিযোগ। আবার ভাগাভাগি করে অর্ধেক টাকা নিতে রাজি নন অন্তোষবাবু। বাধ্য হয়ে পুরো টাকা ফেরতের দাবিতে সোমবার জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।