ওয়াশিংটন: করোনার টিকার সন্ধানে হন্যে হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই অবস্থায় ফের দুঃসংবাদ। আমেরিকায় এক স্বেচ্ছাসেবক ‘অজানা রোগ’-এ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল আপাতত বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করল জনসন অ্যান্ড জনসন। সোমবার প্রখ্যাত এই মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে, ‘অসুস্থতা, দুর্ঘটনার মতো বিরূপ ঘটনা যে কোনও ক্লিনিক্যাল পরীক্ষারই অঙ্গ। বিশেষ করে বড় আকারের পরীক্ষার ক্ষেত্রে এমন ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।’ তবে স্বেচ্ছাসেবকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কথা মাথায় রেখে এর বেশি কিছু জানায়নি জনসন অ্যান্ড জনসন। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের উপর তাদের সম্ভাব্য টিকার ট্রায়াল শুরু করে জনসন অ্যান্ড জনসন। আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২০০টি জায়গায় ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর টিকার পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আমেরিকা ছাড়াও আর্জেন্তিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, পেরু এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতেও জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের টিকার পরীক্ষা শুরু করেছিল। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চূড়ান্ত পর্যায়ে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে কোনও স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়লে আরও সতর্কতা অবলম্বন করে টিকার পরীক্ষা করে প্রস্তুতকারী সংস্থা। গতমাসে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথভাবে তৈরি টিকা ‘চ্যাডক্স-১’-এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময়ও এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর জেরে এখনও আমেরিকায় ‘চ্যাডক্স-১’ টিকার ট্রায়াল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে আরও কঠিন উপসর্গ দেখা দিতে পারে সতর্ক করলেন গবেষকরা। আর এই সঙ্গেই করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা ঘিরে চলতি ধারণাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল। একবার করোনা হলে দ্বিতীয়বার সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করা হত। নেভাদা স্টেট পাবলিক হেল্থ ল্যাবরেটরির গবেষকরা বলেন, ‘দ্বিতীয়বার সংক্রমণ নিয়ে আমাদের গবেষণা করোনার প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে চলতি ধারণাকে বদলাতে বাধ্য করবে।’ তাঁদের এই গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ল্যান্সেট পত্রিকায়। অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় খুলে দেওয়া হল পেরুর বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র মাচুপিচু। তবে প্রথম দিন হতাশই হতে হয়েছে মাচুপিচু কর্তৃপক্ষকে। মাত্র একজন পর্যটক সেখানে গিয়েছিলেন। লকডাউনের জেরে পেরুতে আটকে পড়া জাপানের নাগরিক কাতায়ামাই ছিলেন মাচুপিচু খোলার পর প্রথম পর্যটক।