বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
এদিকে, বেলজিয়ামে সংক্রমণের শিকার ১২ বছরের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। সাধারণত, কমবয়সিদের উপর করোনার প্রভাব কম বলেই মনে করছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বেলজিয়ামের ঘটনায় তা ভুল প্রমাণিত হল বলেই মনে করা হচ্ছে। ফ্রান্সে এদিন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৩ হাজার ২৪ জন।
আমেরিকাতেও আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মারা গিয়েছেন মোট ৩ হাজার ১৭৫ জন। এরপরই সারা বিশ্বে লকডাউন আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত জানিয়েছেন, করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে আগামী ৩০ দিন আমেরিকার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেদেশের জনসংখ্যার ২৫ কোটিই এখন ঘরবন্দি। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে আরও কঠোর গাইডলাইন তৈরির কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। জোর দিয়েছেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়েও। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার কাছে অর্থনীতি দু’নম্বরে। আগে মানুষের জীবন বাঁচাই। আমার মনে হয় অর্থনীতি খুব দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে।’ এশিয়ার অবস্থাও শোচনীয়। ইরানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সেদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮৯৮ জন। সোমবার চীনে নতুন করে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৩০৫। পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮৬৫ জন। এখনও পর্যন্ত সেদেশে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা মহামারীর কেন্দ্র পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় সরে গেলেও এশিয়া নিয়ে এখনই আশাবাদী নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সংস্থার পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রিজিওনাল ডিরেক্টর ডঃ তাকেশি কাসাই জানিয়েছেন, ‘এটি একটি দীর্ঘ লড়াই। আমাদের সব ধরনের সতর্কতা নিতে হবে।’ গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কায় বাংলাদেশেও লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে বিভিন্ন দপ্তর ও কারাখানায় তবে সীমিত আকারে কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা খুবই কষ্টের। কিন্তু জনস্বার্থ তা করতে হবে। গতকাল আফ্রিকার তানজানিয়া এবং আইভরি কোস্ট থেকেও করোনার জেরে প্রথম মৃত্যুর খবর এসেছে। আফ্রিকার সর্ববৃহৎ শহর, নাইজেরিয়ার লাগোস এদিন লকডাউনের আওতায় এসেছে। একই পথে হেঁটেছে জিম্বাবোয়েও।
শুধু প্রাণহানি নয়, বিশ্ব অর্থনীতির উপরেও কোপ বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি মানুষের দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হচ্ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের বাণিজ্য সম্পর্কিত রিপোর্ট বলছে, বিশ্ব অর্থনীতি এক ব্যাপক মন্দার দিকে যাচ্ছে। ভারত এবং চীন বাদে সব দেশই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।