কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
পঞ্চম দফার ভোট মিটেছে সোমবার। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে লোকসভার আসনভিত্তিক যে রিপোর্ট বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কাছে এসেছে, তাতে হাসি চওড়া হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি সহ অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলির। মোদি সরকার যে আর ফিরছে না, তা জোরালো কণ্ঠে দাবি করেছেন বিরোধী নেতারা। মঙ্গলবার বসিরহাট ও বারাসত লোকসভায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যয়ী বার্তা, ‘বিজেপির ভরাডুবি নিশ্চিত। দেশের খবর, বিজেপি এবার যাচ্ছে। আগামী দিনে ইন্ডিয়া সরকার হবে। তখন সিএএ, এনআরসি, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাতিল করা হবে। ১০০ দিনের কাজ ফিরে আসবে। মানুষ পাবেন নিজের অধিকার।’
উন্নয়নের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়েছিলেন ১৪০ কোটি ভারতবাসী। কিন্তু শেষ ১০ বছরে ক্ষমতায় থেকে মোদি কী কী কাণ্ড করেছেন, তার তালিকা এদিন দু’টি ভরা জনসভায় তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি শুধু মিথ্যা প্রচার করেছেন। প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা, বছরে দু’কোটি চাকরি সহ কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি। উল্টে ১০ বছর ধরে দেশ বিক্রি করে চলেছেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকেও বিক্রি করেছেন। সংবিধান, শিক্ষা বেচে দিয়েছেন। ইছাপুরে এখন আর বন্দুক তৈরি হয় না। বিদেশে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওরা চলে যাওয়ার পর যেদিন সব ফাইল খোলা হবে, সেদিন সকলে বুঝবেন... দেশের সব টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে বিজেপি।’ এমতাবস্থায় এবারের ভোটে বিজেপিকে হারাতেই হবে—এই আবেদন মানুষের সামনে রেখেছেন মমতা। তাঁর দাবি, স্বৈরতন্ত্রকে না হটালে মানুষের অধিকার, স্বাধীনতা কিছুই থাকবে না। তবে ভোট পর্বের আগে থাকা মাত্র দু’দফায় বিজেপি নতুন কোনও পরিকল্পনা করতে পারে, সেবিষয়ে সকলকে সতর্ক করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘সন্দেশখালি ছিল বিজেপি প্ল্যান-এ। তা বাতিল করে দিয়েছেন মহিলারা। এবার ধর্মীয় বিভাজন করতে বিজেপি প্ল্যান-বি নিচ্ছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গোলমাল বাঁধাতে চাইছে ওরা। তাই সবাই সতর্ক থাকুন।’