বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, করোনা মোকাবিলায় অন্য দেশের নকল না করে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে ভারতের নিজস্ব ভাবনায় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। একইভাবে অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়েও সরকারের চিন্তা করা উচিত। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বক্তব্য, এই অবস্থায় সরকারের পাশে থাকা উচিত। তবে সরকারের ওপর লাগাতার চাপও তৈরি করতে হবে। কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী প্রস্তাব দিয়েছেন, বিপদের এই সময়ে ইতিবাচক বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসের ভূমিকা এবং দলের কর্মীদের কী করণীয় তা জানাতে টেলিভিশনের বিশেষ শ্লট ভাড়া নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিন সোনিয়া গান্ধী। তাঁর এই প্রস্তাব ওয়ার্কিং কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই সমর্থন করেছেন।
এআইসিসির উদ্যোগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার বসেছিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। অংশ নিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, পি চিদম্বরম, আহমেদ প্যাটেল, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং প্রমুখ। করোনা মোকাবিলা করার জন্য সর্বাগ্রে দেশের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিনন্দন জানান সোনিয়া গান্ধী। বলেন, ওরাই প্রকৃত যোদ্ধা।
একইসঙ্গে তিনি জোর দেন করোনার টেস্টের ওপর। সোনিয়া বলেন, দেশের এই বিপদের দিনে আমরা সরকারের পাশে আছি। থাকবও। কিন্তু যে প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, তা হয়নি। তাই করোনা মোকাবিলায় যেমন চিকিৎসা পরিকাঠামোর দিকে জোর দিতে হবে, একইসঙ্গে ‘কমন মিনিমাম রিলিফ প্রোগ্রাম’ও প্রয়োজন বলেই সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন সোনিয়া। করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের আর্থিক অবস্থা সামাল দিতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের নিয়ে একটি ‘ইকোনমিক টাস্ক ফোর্স’ গড়ারও প্রস্তাব দিয়েছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। তা নাহলে করোনার কবল কাটিয়ে ওঠার পর দেশ ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়বে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধী। -ফাইল চিত্র