উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
বৃহস্পতিবার আয়কর দপ্তরের কর্তাদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান এবং কয়েকটি বণিকসভা আয়োজিত অপর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শহরে এসেছিলেন অনুরাগ সিং ঠাকুর। ইনকাম ট্যাক্স গেজেটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ইউপিএ জমানায় ১০ শতাংশের বেশি মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল। কখনও তা ১২ শতাংশেও পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু গত সাড়ে পাঁচ বছরে নরেন্দ্র মোদির সরকারে তা সাধারণত চার শতাংশ বা তার চেয়েও নীচে অবস্থান করেছে। গত এক মাসে সেই হার বেড়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে সাড়ে পাঁচ বছরের হিসেবকে এক আসনে বসিয়ে হিসেব কষা ঠিক নয়, এমনটাই বোঝাতে চান মন্ত্রী। বলেন, এখন যেটুকু বেড়েছে, তা পরে ঠিক হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, দিল্লির সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, দেশে সাধারণ পণ্যের দামের নিরিখে মুদ্রাস্ফীতির হার পৌঁছেছে ৭.৩৫ শতাংশে। মন্ত্রী বলেন, দেশে যাতে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ে, তার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এখনও হচ্ছে। ব্যাঙ্কগুলিকে দু’লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে তাদের আর্থিক হাল ভালো করা হয়েছে। ব্যাঙ্কগুলির ব্যালান্স শিটের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো হয়েছে। এতেই তাদের ঋণদানের ক্ষমতা বেড়েছে এবং আরও বাড়বে। তাতে অর্থনীতি সচল হবে।
মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ভারত চেম্বার অব কমার্স এবং আরও কয়েকটি সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে এদিন অনুরাগ সিং ঠাকুর বলেন, দেশে যাতে বিনিয়োগ বাড়ে, তার জন্য কর্পোরেট ট্যাক্সে ছাড় দেওয়া হয়েছে। নতুন উৎপাদন সংস্থার আয়কর ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। চলতি সংস্থাগুলির কর নামানো হয়েছে ২২ শতাংশে। কিন্তু সাধারণ মানুষকেও সেই সুযোগ দেওয়া হবে কি না, তা জানাননি মন্ত্রী। বলেন, ২০১৯ সালে সাধারণ মানুষকে আয়করে রেহাই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু বাজেট তৈরির কাজ চলছে, তাই তিনি কিছু বলতে পারবেন না। ১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ বাজেটেই এই বিষয়ে ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অনুরাগ বলেন, জিএসটি’র ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রে তাঁরা এক মাসের মধ্যে রিফান্ড মিটিয়ে দিয়েছেন। যেটুকু দেওয়া হয়নি, তা দু’মাসের মধ্যে মেটাবেন। তবে এদিনও মন্ত্রী বলেন, যাঁরা সঠিক কর দেন, তাঁদের সম্মান করতে হবে। যাঁরা তা দেন না, তাঁদেরও ধরতে হবে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না বলে জোর করে কর আদায় করতে হবে, এমন যেন না হয়, হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।