গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
মদন হত্যা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ওই মামলায় গুরুংকেও যুক্ত করতে হবে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশে দিয়েছে। তাঁর নির্দেশে বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, এই মামলায় সিবিআইকে গুরুংয়ের বিরুদ্ধেও চার্জ গঠনের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এই মামলায় বিমলকে স্বস্তি দিয়েছিল নগর দায়রা আদালত। মদনের স্ত্রী ভারতী তামাং ও সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে নগর দায়রা আদালতের নির্দেশ বাতিল করে গুরুংকে ওই মামলায় অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
২০১০ সালের মে মাসে দার্জিলিঙে সভা করতে গিয়ে রাস্তার উপরে খুন হয়ে যান মদন তামাং। খুকরি দিয়ে তাঁর গলার নলি কেটে দেওয়া হয়। এই খুনের ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নিকল তামাংকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। কিন্তু পিনটেল ভিলেজে পুলিসি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান নিকল। তাঁর আর হদিশ মেলেনি!
পরে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করে তাতে বিমল গুরুং, রোশন গিরি, আশা গুরুং ও বিনয় তামাংয়ের মতো পাহাড়ের ৪৮ জন নেতার নাম ছিল। ২০১৭-র আগস্টে কলকাতার নগর দায়রা আদালত চার্জশিট থেকে গুরুংয়ের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
নিম্ন আদালতের ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মদনের স্ত্রী। বিমলের নাম অন্তর্ভুক্তির দাবি জানায় সিবিআইও। সাতবছর পর, এদিন সেই মামলায় বিমলের নাম যোগ করে তাঁর বিরুদ্ধেও চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।