কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
সংবাদপত্র এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিজেপির জোড়া বিজ্ঞাপনে আপত্তি তুলে প্রথমে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু কমিশন কোনও রকম পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। এরপর রাজ্যের শাসকদলের তরফে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এদিন বিচারপতি ভট্টাচার্যর সিঙ্গল বেঞ্চে তার শুনানি ছিল। তৃণমূলের আইনজীবী দাবি করেন, গত ৪, ৫, ১০ এবং ১২ মে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজেপি যে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল তা শুধু আদর্শ আচরণবিধির পরিপন্থী নয়, সরাসরি সংবিধানের ধারাকেও লঙ্ঘিত করছে। তাছাড়া বিজ্ঞাপনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে যেভাবে ‘সনাতন বিরোধী’ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, তা নিয়মবিরুদ্ধ। সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ প্রভাবও ফেলতে পারে। বিজ্ঞাপনে রাজ্য সরকারকে যেভাবে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে দাবি করা হচ্ছে, তা বিভ্রান্তিকর, বেঠিক এবং অবমাননামূলক। কমিশন অবশ্য জানায়, তৃণমূলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। শো-কজের নোটিস পাঠানো হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। ২১ মে মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার মধ্যে তাঁর কাছে জবাব চেয়েছে কমিশন। কিন্তু এই জবাবে আশ্বস্ত হতে পারেননি বিচারপতি ভট্টাচার্য। তিনি প্রশ্ন তোলেন, একের পর এক অভিযোগ পাওয়ার পরও কেন বিজেপিকে শো-কজ নোটিস পাঠাতে ১৮ মে পর্যন্ত সময় লাগল? জবাবদিহির তারিখই বা এত পরে কেন?
এইসব ক্ষেত্রে সেন্সর করা ছাড়া কমিশনের আর কোনও ক্ষমতা নেই বলেও তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়। তা শোনার পর এ নিয়ে আরও কটাক্ষ করেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। তিনি পর্যবেক্ষণে জানান, এতে শুধু আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে না, বিষয়টি সংবিধানের ১৯ ও ২১ ধারার পরিপন্থী। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ৪ জুন অর্থাৎ ফল প্রকাশের দিন পর্যন্ত ওই ‘আনভেরিফায়েড’ বিজ্ঞাপনটি কোনও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। সংবাদমাধ্যমগুলিকেও বিজ্ঞাপন প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার ১৯৯৬ সালের গাইড লাইন মানতে হবে। যদিও এই মামলায় বিজেপিকে যুক্ত করা হয়নি।