সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে চড়া গরমও। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়ছে মানুষের। এই পরিস্থিতির কারণেই শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি হয়। আগামী দিনে এই প্রবণতাই বাড়বে। এই সময় বজ্রপাত থেকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়বিদরা। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মালদহে বজ্রাঘাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়। বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হলে খোলা জায়গা থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, বজ্রপাতের সময় গাছের তলায় আশ্রয় নেওয়া খুবই বিপজ্জনক। বজ্রপাতে অধিকাংশ মৃত্যু ঘটে খোলা জায়গায় ও গাছের তলার থাকার সময়। ওই সময় জলাশয়, নদীতে থাকাও বিপদের। কারণ, জল হচ্ছে বিদ্যুতের খুব ভালো পরিবাহী। তাছাড়া, আবহাওয়া দপ্তর কোনও জেলায় বজ্রমেঘ সঞ্চারের বিষয়ে কয়েক ঘন্টা আগে নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। দপ্তরের দামিনী অ্যাপে বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়। তবে যতই পূর্বাভাস দেওয়া হোক না কেন, সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে বজ্রপাতে মৃত্যু কমানো কঠিন বলেই মনে করছেন তিনি।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে মে মাসের চতুর্থ সপ্তাহে যে নিম্নচাপটি তৈরি হতে চলেছে, সেটি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিতই দিচ্ছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। আগামী ২২ মে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি তৈরি হবে। এটি প্রাথমিকভাবে উত্তর-পূর্ব অভিমুখে অগ্রসর হয়ে ২৪ মে নাগাদ মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে জানানো হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় হবে কি না বা হলেও সেটি কোন দিকে যাবে, সে ব্যাপারে আবহাওয়া দপ্তর এখনও কোনও পূর্বাভাস দেয়নি। তারা বলেছে, এর জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ২৪ তারিখের আশপাশে এটির গতিপ্রকৃতি পরিষ্কার হয়ে যাবে। আজ-কালের মধ্যে আন্দামান সাগরে বর্ষা ঢুকে পড়বে।