সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
৯(১) ধারা অনুযায়ী, কোনও পরীক্ষার্থী একটি বিষয়ে ফেল করলে তাঁর নম্বর যদি পাশমার্কের চেয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ নম্বর কম থাকে (অর্থাৎ ২৫ বা তার বেশি এবং পাশমার্ক ৩০-এর কম), তাহলে তাঁর সর্বোচ্চ নম্বর ওঠা বিষয় থেকে মার্কস কেটে ওই ঘাটতি পুষিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়। আর ৯(২) নম্বর ধারা অনুযায়ী, ফেল করা বিষয়ের নম্বর যদি ২৫-এর কম থাকে, তাহলে সেটিকে চতুর্থ বিষয় করে ওই পরীক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়। এবার বিষয় হল, আগামী বছরের উচ্চ মাধ্যমিকে সাপ্লিমেন্টারি নেই। সেমেস্টার পদ্ধতিতে সাপ্লিমেন্টারি থাকলেও চূড়ান্ত সেমেস্টারে সেই সুযোগ নেই। শিক্ষকদের একাংশ সেই সুযোগ দেওয়ারই দাবি তুলছেন। এখন নিয়ম হল, কেউ যদি ৯(২) ধারা অনুযায়ী উত্তীর্ণ না হয়ে সব বিষয়ে পাশ করতে চান, তাহলে তাঁকে মার্কশিট সারেন্ডার করে বা সংসদকে ফেরত দিয়ে এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। পরের বছর সংশ্লিষ্ট বিষয়টির পরীক্ষার দিনে তিনি তাতে বসার সুযোগ পান। এতে তাঁর এক বছর নষ্ট হয়।
পাশ করার সুযোগ পেলে পরীক্ষার্থীরা তা নেবেন না কেন? পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘বিজ্ঞানের কোনও ছাত্র যদি গণিতে বা কমার্সের কোনও ছাত্র যদি অ্যাকউেন্টেন্সিতে ফেল করেও সার্বিকভাবে উত্তীর্ণ হন, তাতে তাঁর বিশেষ কোনও লাভ নেই। এতে তাঁর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র অনেকটাই সঙ্কুচিত হয়ে যায়। এর পরিবর্তে বরং কিছুদিন বাদে ফেল করা বিষয়টিতে ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ তাঁদের দেওয়া হোক। তাতে যদি তাঁরা উত্তীর্ণ হতে পারেন, তাহলে তাঁদের বছরটিও বেঁচে যায়। আবার একটি বিষয়ে ফেলের বোঝাও বইতে হয় না।’ সৌগতবাবু আরও জানান, তাঁর স্কুল উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাইস্কুল ফর বয়েজে চার ছাত্র গত বছর মার্কশিট সারেন্ডার করেছিলেন। তাঁরা এ বছর পরীক্ষা দিয়ে ফেল করা বিষয়গুলিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের একটি বছর নষ্ট হয়েছে। তাই প্রথম সেমেস্টারে সাপ্লিমেন্টারির সুযোগের পাশাপাশি ফাইনাল সেমেস্টারেও তা রাখার দাবি শিক্ষকদের।