সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তরের নিয়ম, একজন প্রসূতির মৃত্যু হলেও ডেথ অডিট করতে হবে। হাসপাতালে শীর্ষকর্তা থেকে শুরু করে যাঁদের অধীনে ওই প্রসূতি ভর্তি ছিলেন, প্রত্যেককে ডেকে পাঠানো হবে। সেই মতো মেডিক্যালের অধ্যক্ষ, সুপার, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের প্রধান, ইউনিট ইন চার্জ সহ একাধিক চিকিৎসক ও আধিকারিককে ডেকে পাঠায় স্বাস্থ্যভবন।
মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রাজ্যের কাছে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির একটি। তাই কেন এমন হল, জানতে চান স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। চিকিৎসকদের যুক্তি ছিল, তুলনামূলকভাবে এ বছরে মাতৃমৃত্যু বরং কম হয়েছে। কিন্তু প্রধান সমস্যা রেফার। জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ২২ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। ১৮ জনই রেফার্ড। ওই প্রসূতিরা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন। শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তারা বলেন, আশঙ্কাজনক প্রসূতিরা মেডিক্যালে আসবেন না তো কি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবেন?
ঘটনার অন্তর্তদন্তে দু’টি চাঞ্চল্যকর বিষয় জানা গিয়েছে। এক, চারজনেরই প্রসব হয় সন্ধ্যার পর। দুই, তিনজনের ক্ষেত্রে তুলনায় কম সিনিয়র ডাক্তাররা অপারেশন করেন। চিকিৎসকদের পাল্টা যুক্তি, সহকারী অধ্যাপক, এসআর, আরএমওরাও অনেকে অভিজ্ঞ। সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অধ্যক্ষ ডাঃ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আটকাতে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসচিব বলেন, মাতৃমৃত্যুর কারণ আমরা অনুসন্ধান করি। তাই সবাইকে ডাকা হয়েছিল।