অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বসু পরিবারের তরফে এই বিলম্বের বিষয়ে দিল্লিতে খোঁজখবর করা হয়েছিল। আর তা করতে গিয়ে তারা জেনেছে যে সংস্কৃতি মন্ত্রীর কন্যার বিয়ে উপলক্ষে গত কয়েক দিন ধরে মন্ত্রকের স্বাভাবিক কাজকর্ম অনেকটা শিকেয় উঠেছে। সোমবার ছিল মন্ত্রীর মেয়ের বিয়ে। অনুষ্ঠান পর্বের শেষে মন্ত্রী দিল্লি ফিরে নেতাজি জন্মজয়ন্তী কমিটি গঠনের ব্যাপারে সক্রিয় হবেন বলে মন্ত্রকের আধিকারিকরা বসু পরিবারের সদস্যদের ইঙ্গিত দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিকে চেয়ারম্যান করে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি জাম্বো কমিটি গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে দিল্লির কর্তাদের। সেই কমিটি গঠন করার পর কবে তার প্রথম বৈঠক হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে কমিটিতে বসু পরিবারের কয়েকজনের সঙ্গে আইএনএ বাহিনীর জীবিত কয়েকজন সদস্যকে রাখার কথা ভেবেছে কেন্দ্র। সেই মতো বসু পরিবারের কাছ থেকে তারা নামও চেয়েছে।
মোদি সরকার কী করতে চলেছে নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের লক্ষ্যে তা এখন বসু পরিবারের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে মমতা যেভাবে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছেন, এ ব্যাপারে তাঁকে তাঁরা তারিফ না করে পারছেন না। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে মমতার সঙ্গে অনেক বিষয়ে সহমত না হলেও, বসু পরিবারের এই সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে খোলাখুলি স্বাগত জানাচ্ছেন। বিশেষ করে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য উদঘাটনে বিষয়ে মমতা যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে দাবি তুলেছেন, তাকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। পরিবারের এই সদস্যদের মুখপাত্র তথা নেতাজির সম্পর্কে নাতি চন্দ্রকুমার বসু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে পরিবারের সদস্যরা সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছে। তবে একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি ওঁর কাছেও অনুরোধ করব যে, ২৩ জানুয়ারি দিনটিকে দেশপ্রেম দিবস হিসেবে উদযাপনের জন্য উনিও উদ্যোগ নিন। বাম আমলের শেষ দিকে এরাজ্যে অন্তত সরকারি স্তরে দিনটি দেশপ্রেম দিবস হিসেবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল জমানায় সেই ঐতিহ্য কেন বন্ধ হল, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।