বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
তবে এবার প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে পিকে’র রিপোর্টকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আর সে কারণেই ওই রিপোর্ট নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন কাউন্সিলাররা। কারণ তাঁদের জনসংযোগ, ব্যক্তিগত সম্পদসৃষ্টি, স্বজনপোষণ, জীবনযাপন, নাগরিক পরিষেবা প্রদানে দায়িত্বপালন ইত্যাদি নানা বিষয়ে তাঁর আই-প্যাক রাজ্যজুড়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই রিপোর্ট রয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। এবার কাউন্সিলারদের ভাগ্য নির্ভর করছে ওই রিপোর্টের উপরেই। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতাই। তাঁর প্রধান লক্ষ্য, কলকাতা পুরসভা দখলে রাখা। কলকাতা দখলে রেখেই বাকি পুরসভার লড়াইতে নামতে চলেছে তৃণমূল।
ইতিমধ্যে পাঁচজনের একটি কমিটি করেছেন মমতা। তাতে সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারী ও অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়ের মতো নেতাকে রাখা হয়েছে। প্রার্থী তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে কোনও ওয়ার্ডে যদি একটি নাম সর্বসম্মতভাবে ঠিক হয়, তাহলে ব্লক বা টাউন স্তরেই তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। যদি কোনও ওয়ার্ডে একাধিক নাম থাকে, তাহলে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা কমিটি। যদি জেলা কমিটি কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিতর্কের নিষ্পত্তি করতে না পারে, তাহলে সিদ্ধান্ত নেবে ওই পাঁচজনের কমিটি। তবে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি কলকাতা ও হাওড়া পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজ্ঞপ্তি জারির সঙ্গে সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তার আগেই ঠিক হয়ে যাবে, কে কোন ওয়ার্ডে প্রার্থী হচ্ছেন। যে ১০২টি পুরসভায় ভোট হচ্ছে, সেই সব এলাকায় এখন একটাই চর্চা চলছে, পি কে তাঁর এলাকার কাউন্সিলার সম্পর্কে কী রিপোর্ট দিলেন, অথবা মহিলা ওয়ার্ডে কে দাঁড়াবেন ইত্যাদি। পর্যবেক্ষকরা জেলা কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে পি কে’র রিপোর্টের কথা উল্লেখ করছেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় বিধায়কদের মতামতকে যে গুরুত্ব দেওয়া হবে সে কথাও বলা হচ্ছে। তবে কোনও বিধায়ক যদি ইচ্ছা করে গোষ্ঠী রাজনীতিতে মদত দিতে কোনও কাউন্সিলারকে বাদ দেন, তাহলে তাও খতিয়ে দেখবেন তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব। এককথায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা তৈরি নিয়ে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে।