উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মুখ্য সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, শহরের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ওই তরুণী উত্তর কলকাতার কাশীপুর রোডে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ২০১৬ সালে কলকাতায় গানের এক অনুষ্ঠানে দু’জনের আলাপ হয়। পরবর্তী সময় ওই যুবক তরুণীকে কুপ্রস্তাব দিলে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব নষ্ট হয় বলে অভিযোগ। ২০১৮ সালের নভেম্বরে মাসে ফের দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা হয়। এরমধ্যে দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা ওই যুবক তাঁর মাকে দিয়ে ওই তরুণীকে বাড়িতে ডেকে পাঠান। তরুণী ওই যুবকের বাড়িতে গেলে তাঁকে মাদক মিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় খেতে দেওয়া হয়। তা খেয়ে তিনি সংজ্ঞা হারালে সৌম্য তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। সেই ছবি ভিডিও করা হয়। জ্ঞান ফিরলে তরুণী দেখেন তিনি বিবস্ত্র। এরপর তিনি কোনওভাবে পালিয়ে আসেন। সরকারি আইনজীবীর অভিযোগ, মোবাইলে তুলে রাখা ওই ভিডিও দেখিয়ে ওই যুবক তাঁকে বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এক সময় ওই তরুণী বেঁকে বসলে ওই সৌম্য তাঁর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই তরুণী কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, হুমকি, ষড়যন্ত্র, তথ্যপ্রযুক্তির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার পুলিস ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানায়, ঘটনার সময় ওই তরুণী যে জামাকাপড় পরেছিলেন, তা পরীক্ষার জন্য ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে বলে সরকারি আইনজীবী কোর্টে জানান।