গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
ঘটনাটিতে আরও অনেক চমক আছে। আগন্তুক চারজনের মধ্যে একজন তাঁর সঙ্গে একনাগাড়ে গল্প করে গিয়েছে। আর বাকি তিনজন মাথায় সার্চ লাইট জ্বালিয়ে ঘরের প্রতিটি কোণ হাতড়ে মূল্যবান জিনিস খুঁজে গিয়েছে। তাদের মধ্যে একজন আবার কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়েও নেয়। বাকিরা জিনিসপত্র হাতাতে থাকে। এই দলটি রেণুদেবীর বাড়ি থেকে নগদ ৩৭হাজার টাকা আর সোনার কানের দুল, হাতের আংটি নিয়ে যায়। সঙ্গে একটি দামি শাড়িও। শুক্রবার সকালে বেনজির এই চুরির গল্প বললেন রেণুদেবী। তিনি বলেন, ‘আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম। একজন আমার পাশে এসে বসে হাতের লোহার রড দেখিয়ে বলল, মারলে কী হবে বুঝছেন? আমি ঘাড় নাড়তেই বলল, তাহলে চুপ করে থাকুন। আমিও তখন বললাম, তোদের যা ইচ্ছে নিয়ে যা। কিন্তু আমাকে মারিস না। তারপর সে গল্প জুড়ে দিল। আমার পরিবারের গল্প। আর বাকি তিনজন তখন টাকা, সোনা খুঁজে বের করছিল।’ রেণুদেবীর বাড়ির পাশেই থাকেন তাঁর আত্মীয় মিতা পাল। তিনি বলেন, ‘কিছু বুঝতেই পারিনি। ভোরবেলা শুনতে পেলাম চার চোরের কাণ্ড।’ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শুভঙ্কর রাহা বলেন, ‘পুলিস বড় রাস্তায় টহল দেয়। ভেতরের দিকে তেমন আসে না। তবে আগে কখনও নলডাঙাতে এরকম চুরি হয়নি। ব্যান্ডেল ফাঁড়ির পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। রেণুদেবীর সাহস আছে, বলতেই হবে।’
রেণুদেবী বাড়িতে একাই থাকেন। তাঁর দুই মেয়ে বিবাহিত। এক মেয়ে কিছুটা দূরে নলডাঙাতে থাকেন। অন্যজন থাকেন মুম্বইতে। ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবার রেণুদেবী মুম্বই থেকে ফিরেছেন। অবসরভাতার টাকা তুলেছিলেন। রাতেই তাঁর বাড়িতে চোরেরা হানা দেয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চোরেদের মুখ ঢাকা ছিল। তবে সকলেই তরুণ। তিনজনের মাথায় সার্চ লাইট ছিল। যাতে ঘরের আলো না জ্বেলেও চুরি করা যায়। চুরির পর্বে ভালো ব্যবহার করলেও যাওয়ার সময় ওই প্রৌঢ়ার পোশাক দিয়েই তাঁর হাত, পা ও মুখ বেঁধে দিয়েছিল। তবে বাঁধন শক্ত ছিল না। রেণুদেবী নিজেই তা খুলে ফেলেছিলেন। আর তারপরই শুক্রবারের ভোরে প্রতিবেশীরা জানতে পারেন পাড়ায় চুরি হয়েছে। তা লাইভ দেখতেও হয়েছে রেণুদেবীকে।