নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: জীবিত রোগীকে মৃত বলে চালিয়ে দেওয়া কিংবা যিনি সত্যিই মারা গিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে সময়ে খবর না দেওয়া— এনিয়ে তোলপাড় উত্তর ২৪ পরগনার স্বাস্থ্য বিভাগ। নথিপত্রের বিভ্রান্তির জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সূত্রের খবর, ওই কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। তার ভিত্তিতে বলরাম হাসপাতালের পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে দু’জন চিকিৎসক। তবে তাঁদের কী শাস্তি হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, তা এদিন স্পষ্ট করেননি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপসকুমার রায়। যদিও মৃত মোহিনীমোহন মুখোপাধ্যায়ের ছেলে খড়দহের বাসিন্দা সন্দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বাবাকে শেষবারের মতো দেখতে না পাওয়ার আক্ষেপ সারাজীবন থেকে যাবে। যাঁদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য এটা হল, তাঁদের শুধু দোষী সাব্যস্ত করলেই হবে না, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’ তাঁর অভিযোগ, বাবার ভুল চিকিৎসা হয়েছে। সেকারণেই মারা গিয়েছেন।
শুক্রবার মনে একরাশ আনন্দ নিয়ে বৃদ্ধ বাবাকে হাসপাতালে থেকে আনতে গিয়েছিলেন যে ছেলে, সেই বাড়িতেই এখন চলছে মোহিনীবাবুর শ্রাদ্ধের তোড়জোড়। রবিবারই ছিল ঘাটকাজ। সোমবার শ্রাদ্ধ-শান্তির আয়োজন করা হয়েছে বাড়িতে। তবে বাইরের কাউকেই নিমন্ত্রণ করা হয়নি। শাস্ত্র মেনে যেটুকু না করলেই নয়, সেইটুকুই আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান সন্দীপবাবু।