পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
সম্প্রতি, ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে বেহালা অঞ্চলের ১২৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এমনই একটি ফোন আসে। ওই ব্যক্তির বক্তব্য ছিল, দীর্ঘদিন আগেই তিনি জমি কিনেছেন। কিন্তু বাড়ি বানাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। নকশা অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে না। বলা হচ্ছে ডোবা বুঝিয়ে তৈরি জমি। ফলে অনুমোদন পেতে তৈরি হয়েছে আইনি জটিলতা। এই কারণেই তিনি সমস্যার সমাধান পেতে পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর দাবি, আশেপাশের বহু জায়গাতেই বাড়ি তৈরি হয়েছে। তা হলে তিনি কেন ওই জমিতে বাড়ি তৈরি করতে পারবেন না! এই অভিযোগ শুনে ফিরহাদ হাকিম পুরসভার বিল্ডিং বিভাগকে পেনাল্টি বা অন্য কোনও আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি মিটিয়ে দিতে বলেছেন। পাশাপাশি, আশেপাশের বাড়িগুলিতেও নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুর-কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, এই ধরনের অভিযোগ মূলত সংযুক্ত কলকাতা থেকেই আসে। যাদবপুর, গড়িয়া বিশেষত বেহালার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে এমন বহু অভিযোগ মাঝেমধ্যেই পাওয়া যায়। বিগত বাম আমলে শহরের এই সমস্ত অঞ্চলে একের পর এক জলাভূমি বুজিয়ে ফ্ল্যাট তৈরি করে তা বেচে দেওয়া হয়েছে বলে বারবার অভিযোগ করেছেন ফিরহাদ। তৎকালীন সময়ে পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকদের একাংশ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত বলেও মনে করে বর্তমান প্রশাসক বোর্ড।
সমস্যা ঠিক কোথায় হচ্ছে? পুরসভার আধিকারিকদের বক্তব্য, জলাশয় বা ডোবা বিভিন্নভাবে মাটি কিংবা রাবিশ ফেলে ভরাট করে জমি বানিয়ে প্লট আকারে বিক্রি করা হয়েছে বহুকাল আগেই। তৈরি হয়েছে আবাসন। কিন্তু সরকারি নথিতে, সেটা জলাভূমি হিসেবেই চিহ্নিত রয়েছে। বর্তমানে গুগল ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে জলাভূমির অবস্থান স্পষ্ট পাওয়া যায়। কিন্তু সেই আসল নথির উপর কারসাজি করে আগের আমলে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ভূরি ভূরি। এ ভাবেই একের পর এক জলাজমি আত্মসাৎ করা হয়েছে। পুরসভার তৎকালীন আধিকারিকদের একাংশ এতে যুক্ত না-থাকলে এটা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বর্তমান কর্তৃপক্ষ।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘পুরোটাই আধিকারিকদের খতিয়ে দেখতে বলেছি। তদন্ত হবে। এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। বহু কেস আছে। আদৌ সেখানে জলাভূমি ছিল, নাকি রেকর্ডের ভুল সেটা দেখা হবে। প্রয়োজনে রেকর্ড সংশোধন করা হবে। কিন্তু যদি সত্যি গলদ ধরা পড়ে তা হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। তিনি কর্মরত হোক বা অবসরপ্রাপ্ত, কাউকে ছাড়া হবে না।’