পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
চুঁচুড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, শহরজুড়ে আমরা সমীক্ষা করে বেশকিছু জায়গা চিহ্নিত করেছি। সেখানে হাইমাস্ট লাইট বসানো হবে। বৃহত্তম এলাকা আলোকিত করতে ওই লাইটগুলি খুবই কার্যকরী। শহরকে আলোয় সাজাতে ওই পরিকল্পনা করে তা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওলন্দাজ সমাধিস্থলের হাইমাস্ট লাইট পুরসভার পক্ষ থেকেই বসানো হচ্ছে। ওই এলাকা আলোকিত করার জন্য স্থানীয়দের দাবি ছিল। পাশাপাশি শহরের একটি ঐতিহাসিক স্থান হিসাবেও ওই সমাধিস্থলের একটি বিশেষ গুরুত্ব আছে।
পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতে গ্রিন সিটি প্রকল্পে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অনেকগুলি হাইমাস্ট লাইট বসানো হয়েছিল। সেগুলির কারণে শহরের ঘড়ি মোড়, গঙ্গাতীরবর্তী একাধিক এলাকায় চেহারাই বদলে গিয়েছে। ফলে হাইমাস্ট লাইট নিয়ে শহরে একটি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এনিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আরও লাইট বসানোর দাবি উঠতে শুরু করেছিল। মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই পুরসভার তরফে সমীক্ষা করানো হয়। সেখান থেকে বাছাই করে ২৫টি এলাকাকে চিহ্নিত করে হাইমাস্ট লাইটের দ্বিতীয় দফার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি তা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানোও হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত দু’ধরনের হাইমাস্ট লাইট ব্যবহার হয়। তার মধ্যে একটি ৩০ ফুট উচ্চতা হয় এবং আলোকস্তম্ভে ছয়টি হ্যালোজেন লাইটের বৃত্ত থাকে। সাধারণত আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হয়। অন্যটির আলোকস্তম্ভ প্রায় ৪০ ফুট উঁচু হয়। সেখানে ৮টি হ্যালোজেন লাইটের বৃত্তকারে সাজানো থাকে। তাতে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ পড়ে। এই দ্বিতীয় শ্রেণীর হাইমাস্ট লাইটের জন্যই আবেদন করেছ পুরসভা। পুরকর্তারা জানিয়েছে, প্রায় এক কোটি খরচ ধরে প্রকল্প জমা করানো হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ২৫টি হাইমাস্ট লাইট বসানো হলে পুরসভার বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আধুনিক আলোকসজ্জায় সেজে উঠবে।