পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামের মিলনপল্লি এলাকায় শিবা ভগতের বাড়ি। তিন বছর হল তিনি একটি খাবার সরবরাহকারী সংস্থায় ডেলিভারি বয়ের কাজ করছেন। শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ মধ্যমগ্রামে বসুনগর ৩ নম্বর গেট থেকে খাবারের অর্ডার আসে। তিনি মধ্যমগ্রাম চৌমাথার এক রেস্তরাঁ থেকে খাবার নিয়ে তা পৌঁছে দিতে যান। নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছনোর পর দেখতে পান চারজন ছেলে এবং একজন মহিলা অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় বসে রয়েছে। তারা জানায় অর্ডার ক্যানসেল করতে হবে। তখন শিবা ভগৎ বলেন, ক্যানসেল আপনারা করুন। আমি করলে আমার আইডি ব্লক হয়ে যাবে। আগামী বেশ কিছু দিন আমি ডেলিভারির অর্ডার পাব না। তাই আমার ফোন থেকে অর্ডার ক্যানসেল করা যাবে না। অভিযোগ, ওই যুবকরা তাঁকে অর্ডার ক্যানসেল করার জন্য চাপাচাপি শুরু করেন। এই নিয়ে বচসা চলাকালীন অভিযুক্তরা গালিগালাজ করে ও তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁর মুখ ও চোখে গুরুতর চোট লাগে। শিবা ভগৎকে প্রথমে মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর বন্ধু শুভাশিস সাহা বলেন, শিবা দীর্ঘদিন ধরেই ডেলিভারির কাজ করছে। মধ্যমগ্রামের প্রচুর মানুষের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক। খাবার পৌঁছে দেওয়া নিয়ে কেউই ওর বিরুদ্ধে কখনও অভিযোগ জানাননি। অভিযুক্তরা অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় আচমকা ওর উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।