পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
জেলায় বর্তমানে ১১৫টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। কিন্তু সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন। তাই কোন ব্লকে কত এমন শেল্টার দরকার, তার তালিকা সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আরও ১০১টি এমন শেল্টার তৈরি করা দরকার বলে জেলা প্রশাসন মনে করছে, যার বেশিরভাগই উপকূলবর্তী এলাকায়। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এবছর উপ-পুনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল প্রশাসনকে। করোনার জন্য শারীরিক দূরত্ববিধি মানতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে উদ্ধারকারী দল। তাই ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যায় এমন আশ্রয়স্থল থাকলে কাজ সহজ হয় বলেই মনে করছেন কর্তারা।
গত তিনটি ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি। সেই সময় সন্ধ্যার পর উদ্ধারকাজ কিংবা ধ্বংসস্তূপ সরানো সম্ভব হয় না। বুলবুল এবং উম-পুনের সময় এজন্য পোর্টেবল ইনফ্লেটেবল লাইট ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকী গঙ্গাসাগর মেলার সময় ফেরিঘাটেও ব্যবহার করা হয় এই আলো। তাই আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যাতে এই আলো আগে থেকে মজুত করা যায়, তার আবেদন জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। মোট ২৭০টি আলোর অনুমোদন চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়া, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে প্রচুর গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা আটকে দেয়। ফলে উদ্ধারকাজে যাওয়া গাড়িও আটকে পড়ে। তাই দ্রুত যাতে এইসব ভাঙা ডালপালা সরানো যায়, সেই রকম পরিকাঠামো প্রয়োজন রয়েছে। তার জন্য ১৯৬টি গাছ কাটার যন্ত্র কেনার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কাকদ্বীপ, সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, বাসন্তীর মতো এলাকায় এই যন্ত্র বেশি প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। বিপর্যয়ের পর দ্রুত এই যন্ত্র দিয়ে গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা হলে উদ্ধারকাজে গতি আনা যাবে।