কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
কিন্তু করোনা বিষমন্ত্রে গোটা শহরই যে ঘুমিয়ে পড়েছে। কীভাবে আসবে আনন্দ? জবাব দিচ্ছে ঠিক পাশের পুজোটিই। অকাল বোধনের ঢাকে কাঠি পড়েছে। কোভিড রাক্ষসের মন্ত্রবল ছাপিয়ে উঠেছে আগমনি সুরের মূর্ছনা। ঘুম ভাঙছে। ধীরে ধীরে। আড়মোড়া কাটিয়ে ছন্দে ফেরার পথ ধরেছে মানবজীবন। দমদম পার্ক ভারতচক্রে। শিল্পী অনির্বাণ দাস ও তাঁর সহযোগীদের হাত ধরে। থিম-‘দুখজাগানিয়া’। গোটা রাস্তাকেই মণ্ডপ বানিয়ে ফেলেছেন শিল্পী-দল। বিড়ালের আড়মোড়া ভাঙা দিয়ে পথ চলা শুরু। এর পর কোথাও হাতে টানা রিক্সা, কোথাও দুধের ক্যান নিয়ে সাইকেল, নৃত্যরত তরুণী, হাজার টাকার ঝাড়বাতির আলো, ছাদের উপর মোরগ...সব কিছুর মধ্যেই জেগে ওঠার বার্তা। কেন ঘুম ভাঙার কথা এল মাথায়? অনির্বাণের কথায়, ‘আমরা করোনা নিদ্রায় আচ্ছন্ন ছিলাম। এখন জেগে উঠছি। এখানেই থামলে চলবে না। স্বাভাবিকতায় ফিরতে হবে। গত একমাস ধরে চলছে প্রস্তুতি। রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তা। প্রতিমা একচালা। সাবেকি।’ বিপজ্জনক ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার লড়াই চলছে। প্রতিনিয়ত। ‘জিজীবিষা’ থিমে সেই লড়াইকেই ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী তন্ময় হাজরা। উল্টোডাঙ্গা যুবকবৃন্দের পুজোয়। তেলের টিনের উপরে মানুষের মুখের অবয়ব দেওয়া হয়েছে। জোটবদ্ধ সেই মানুষদের অভিব্যক্তিময় মুখগুলির সঙ্গেই প্যান্ডেলের একাংশ জুড়ে থাকছে বেশ কিছু ছবি। অপর দেওয়াল জুড়ে প্রকৃতির কথা। প্রকৃতির বাঁচার লড়াইয়ের গল্প। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্যান্ডেলের তিন দিকই খোলা রাখা হয়েছে। মাতৃপ্রতিমার জায়গায় রয়েছে ছাউনি। সতর্কতামূলক সব ব্যবস্থা নিয়েই শারদোৎসবে ব্রতী করবাগান। চেনা ছকের বাইরে হেঁটে গোটা রাস্তাটাকেই প্যান্ডেল বানিয়ে ফেলেছেন শিল্পী তানিয়া ভট্টাচার্য। এখানেই মিলবে গুপ্তধনের সন্ধান। টাকা পয়সা, সোনা গয়না নয়-মানুষের মুখের হাসি, মানবিকতার মতো হারিয়ে যাওয়া সম্পদের খোঁজ দিচ্ছেন করবাগানবাসী।
আতঙ্কের অন্ধকার গ্রাস করেছে সবকিছু। সেই আঁধার দূর করতেই আনন্দভৈরবী রূপে আবির্ভূতা হচ্ছেন মা দুর্গা। মূল রাস্তা থেকেই প্যান্ডেল, প্রতিমা দর্শন সেরে ফেলা যাবে। লেকটাউনের প্রদীপ সঙ্ঘও হেঁটেছে একই পথে। করোনার জন্য প্রতিমা শিল্পীরা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তা তুলে ধরা হয়েছে এই পুজো মণ্ডপে। বাজেটে বেশ কাটছাঁট করেছে শহরের অন্যতম জনপ্রিয় পুজো কমিটি-চালতাবাগান। বাদ দেওয়া হয়েছে এখানকার দুই জনপ্রিয়, হাই প্রোফাইল ইভেন্ট- সিঁদুর খেলা ও ঢাক উৎসব।