অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
দপ্তর থেকে বলা হয়েছিল, শনিবারই শিক্ষা সচিবের হাতে স্কুলের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব তুলে দিতে হবে। তাতে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ছবি সহ ক্ষতির আনুমানিক আর্থিক পরিমাণ পাঠাবেন। এসআই, ডিআই হয়ে সেই জেলার নোডাল অফিসারের রিপোর্ট কমিশনারেট অফ স্কুল এডুকেশনের মাধ্যমে যাবে শিক্ষা সচিবের কাছে।
এদিকে, বহু প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোনই বন্ধ। বিদ্যুতের খুঁটি, সৌর প্যানেল ঝড়ে ভেঙেছে। ফলে চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না মোবাইলে। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ তো পরের কথা। কোথাও আবার বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। ইন্টারনেট যোগাযোগ তো নেইই। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাশাপাশি কলকাতার বেশ কিছু স্কুলও মঙ্গলবার পর্যন্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে উঠতে পারেনি। বিভিন্ন জেলার শিক্ষা আধিকারিকরা বলছেন, এজন্য প্রধান শিক্ষকদের আমরা চাপ দিতেও পারছি না। কারণ প্রকৃত অবস্থা জানি। দপ্তরও এটা বুঝুক। এতদিন অগ্রাধিকার ছিল, লকডাউন শেষে পঠন-পাঠন চালু হওয়ার আগে স্কুলগুলিকে জীবাণুমুক্ত করা। কিন্তু উম-পুন তা বদলে দিয়েছে। স্কুলে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন, শেড তৈরি করা, কোথাও ভবন মেরামতির কাজ আগে করতে হবে। অনেক জায়গাতেই স্কুল খুললে বাইরে থেকে জোগান দিতে হবে পানীয় জলের। তার জন্য প্রয়োজন বিপুল অর্থের। ক্ষতির বহর বুঝতে পারলে সেই অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ হবে। সেই হিসেব দ্রুত চেয়েছিল দপ্তর। তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠন শিক্ষা সচিবের কাছে চিঠি দিয়ে বলেছে, সাগরদ্বীপ, গোসাবা, বাসন্তী, পাথরপ্রতিমা, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালির মত ব্লকগুলিতে সার্বিকভাবে মেরামতির অর্থ দেওয়া হোক। যোগাযোগ না থাকায় এই ব্লকগুলি থেকে স্কুল ভিত্তিক রিপোর্ট আসতে বহু সময় লাগবে।