বিদ্যার্থীদের মানসিক স্থিরতা রাখা দরকার। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। তবে নতুন বন্ধু লাভ হবে। সাবধানে পদক্ষেপ ... বিশদ
ইয়াবার কারবারিরা কলকাতাকে বেশ কিছুদিন ধরেই ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করছে বলে এসটিএফের কাছে খবর। বাইপাস ও বন্দর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘর ভাড়া নিয়ে এই ট্যাবলেট মজুত করে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকেই তা পাচার করা হচ্ছে বাংলাদেশে। এখানে এক একটি ইয়াবা ট্যাবলেট ৫০০ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যে কারণে ইয়াবার কারবার ভাঙতে মরিয়া এসটিএফের অফিসাররা।
কয়েকদিন আগে অফিসারদের কাছে খবর আসে, তারাতলায় মণিপুর থেকে মাদক নিয়ে আসছে দুই কারবারি। তাদের সঙ্গে রয়েছে মালদহের এক বাসিন্দা। তারতলার একটি গোডাউনে তা মজুত করে রাখা হবে। এসটিএফের অফিসাররা গাড়ির নম্বর জোগাড় করেন। জানতে পারেন, গাড়িটি বৃহস্পতিবার তারতলায় আসবে। সেইমতো এসটিএফের একটি টিম সেখানে পৌঁছে যায়। গাড়িটি সেখানে আসামাত্রই আটক করা হয়। গাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে দেখা যায়, চারটি গেটে এমনভাবে চারটি বিশেষ খাপ তৈরি করা হয়েছে যা, সহজে কারওর নজরে না আসে। সেই খাপ খুলতেই দেখা যায়, সেখানে রাখা রয়েছে ইয়াবা ট্যাবলেট। উদ্ধার করা হয়েছে ৭৪ হাজার পিস নিষিদ্ধ মাদক ট্যাবলেট। যার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে।
মণিপুরের দুই অভিযুক্তকে জেরা করে জানা গিয়েছে, মায়ানমার থেকে তারা এই ট্যাবলেট মণিপুরে নিয়ে আসে। মালদহের এক ব্যক্তির জন্যই কলকাতায় ইয়াবা নিয়ে এসেছে তারা। মালদহের ওই ব্যক্তির কলকাতায় ডেরা রয়েছে। সেও তাদের সঙ্গে মণিপুর থেকে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের বক্তব্য, এর আগেও কলকাতায় এই ট্যাবলেট তারা নিয়ে এসেছে। বাইপাস এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তা মজুত করে রাখা হতো। কিন্তু সেখানে পুলিসি ধরপাকড় বেড়ে যাওয়ায় ডেরা বদল করে বন্দর এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে মাদক কারবারিরা। মণিপুরের একাধিক ব্যক্তি ইয়াবার কারবারে জড়িত রয়েছে। মালদহ ও মুর্শিদাবাদে এই ট্যাবলেট পাঠানো হয়। এরপর ঘুরপথে তা যায় বাংলাদেশে। ধৃতদের জেরা করে মণিপুরে এই কারবারে জড়িত বেশ কয়েকজন চাঁইয়ের নাম হাতে এসেছে এসটিএফের অফিসারদের। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে।