বিদ্যার্থীদের মানসিক স্থিরতা রাখা দরকার। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। তবে নতুন বন্ধু লাভ হবে। সাবধানে পদক্ষেপ ... বিশদ
ইতিমধ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারি হাওড়া স্টেশনের রেল পুলিসের কাছে দু’জন কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল ভাটপাড়া থানার তরফে। সেই নথি বের করে এনে দুই কিশোরীর পরিচয় মিলিয়ে দেখা হয়। তারপর ভাটপাড়া থানায় খবর দেওয়া হলে সেখানকার এএসআই রঞ্জন মণ্ডল দুই কিশোরীর বাবাকে নিয়ে হাওড়া স্টেশনে চলে আসেন। বিধিমতো তাদের ভাটপাড়া থানা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টারে রাখা হয় বৃহস্পতিবার রাতে। শুক্রবার বিকেলে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে দুই কিশোরীকে যে যার বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান অভিভাবকরা।
আরপিএফ এবং দুই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই নাবালিকা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা দু’জনেই এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। রথতলা রাজলক্ষ্মী বালিকা বিদ্যামন্দিরের ছাত্রী তারা। ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি সন্ধ্যাবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিল তারা। কোনও নির্দিষ্ট গন্তব্যও সম্ভবত ছিল না তাদের। ভাটপাড়া থেকে কোনওভাবে তারা ১৭ তারিখ নবদ্বীপে পৌঁছে যায়। তিন দিন সেখানে কাটানোর পর সেখান থেকে ট্রেন ধরে তারা হাওড়ায় চলে আসে। তখন আরপিএফ তাদের উদ্ধার করে। তবে ঠিক কী কারণে দুই কিশোরী এভাবে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল, তা জানা যায়নি।
আরপিএফ জানিয়েছে, ব্যক্তিগত কোনও কারণে তারা বাড়ি ছেড়েছিল। এক কিশোরীর বাবাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, পড়াশুনোর চাপ তো আমরা কোনওদিনই দিইনি। ঠিক কী কারণে ওরা এমনটা করল, তা নিয়ে আমরাও অন্ধকারে। পরে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে কারণ জানা যাবে বলে মনে করেন তিনি। চারদিন নিখোঁজ থাকার পর মেয়েদের ফিরে পেয়ে ওই অভিভাবক বলেন, গত ক’টা দিন দুশ্চিন্তায় ঘুমোতে পারিনি। তবে একটা সামান্য ভরসা ছিল এই যে ওরা দু’জনে একসঙ্গেই নিখোঁজ হয়েছে। তাই যেখানে যাক, দু’জনে একসঙ্গেই থাকবে বলে আশা করেছিলাম। হাওড়ায় কোনওভাবে ট্রেন ধরে নিলে বা আরপিএফের তৎপরতা না থাকলে কী হত, ভেবে আতঙ্কিত রয়েছেন তিনি।