নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ১৮ জানুয়ারি থেকে টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যাচ্ছে। ২৩ জানুয়ারি, ২৬ জানুয়ারি দিনগুলিতে নানা ধরনের অনুষ্ঠান থাকায় তা পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। ৩১ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে টালা ব্রিজের উপর থেকে সমস্ত রকমের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ভাঙার কাজ শুরু হবে। প্রথমে শ্যামবাজারের দিক থেকে ভাঙার কাজ শুরু হবে বলে পূর্তদপ্তর ঠিক করেছে। ভাঙার জন্য মোট সময় দেওয়া হয়েছে দু’মাস। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি নতুন ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। তবে রেলের ভরসায় না থেকে টালা ব্রিজের রেলের অংশে ভাঙার জন্য টেন্ডার ডেকেছে পূর্ত দপ্তর। তিন-চারদিনের মধ্যে তা ‘ওপেন’ করে কোন সংস্থা ভাঙার দায়িত্ব পেল তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। এরপরেই জোরকদমে শুরু হবে ভাঙার কাজ।
৮০০ মিটার দীর্ঘ টালা ব্রিজের বড় অংশটা রেলের মধ্যে পড়ে। সেই অংশ ভাঙার জন্য পূর্তদপ্তরের পক্ষ থেকে রেল দপ্তরকে অনুরোধ করা হয়েছিল। ভাঙার জন্য ৩০ কোটি চেয়েছিল রেল। তা দিতে রাজি হয় নবান্ন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেলের সঙ্গে আলোচনা করেই ভাঙার কাজ শুরু করতে টেন্ডার ডাকল পূর্তদপ্তর। আগে নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, ৩ জানুয়ারি রাত ১২টায় টালা ব্রিজ বন্ধ হবে। ৪ জানুয়ারি থেকে টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হবে। কিন্তু রেল তার অংশের ভাঙার বিষয়টি নিয়ে চূডান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় সেই কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়।
তবে এর আগে পূর্তদপ্তরের অংশে চার কোটি টাকার বরাত যে সংস্থা পেয়েছে, তারাই যদি ফের বরাত পায় তাহলে কাজের ক্ষেত্রে খুব সুবিধা হবে। তবে কোন রাস্তা কী গাড়ি চলবে, পুলিসের সঙ্গে আলোচনা করে তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে পরিবহণ দপ্তর। কয়েকদিনের মধ্যে কোন রাস্তায় কোন বাস চলবে, তার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এপ্রিল মাস থেকে শুরু হবে নতুন ব্রিজের কাজ। এর জন্য ২৬৮ কোটি টাকার টেন্ডার ডেকেছে পূর্তদপ্তর। ব্রিজটির নকশাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।