উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
আসন বিন্যাসে প্রত্যেককে যে তুষ্ট করা যাবে না, তা ইতিমধ্যেই কাউন্সিলারদের বৈঠকে বার বার বুঝিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তারপরেও এভাবে জেতা ওয়ার্ড ছেড়ে দিতে হলে অসন্তুষ্ট হবেন অনেকেই। তাঁদের একটাই বক্তব্য, কয়েকজনের ওয়ার্ড দিনের পর দিন সংরক্ষণের আওতার বাইরেই রয়ে যায়। কয়েকটি আবার প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সংরক্ষণ হয়ে চলেছে। এটা কি তাহলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? প্রশ্ন তুলেছেন সংরক্ষণের কোপে পড়তে চলা কাউন্সিলার বা বরো চেয়ারম্যানরা। তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাঁরা কোন ওয়ার্ডে দাঁড়াবেন, তা নিয়ে। শাসকদলের এক নেতার কথায়, ওয়ার্ড বদলে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে, তা নয়। কারণ, সংরক্ষণের কোপে পড়লে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলারকে যে অন্য ওয়ার্ডে দাঁড় করানো হতে পারে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কোথায় যাবেন? তিনি হয়তো আগে থেকেই সেখানে নিজের ভিত তৈরি করে রেখেছেন। এমনকী, তাঁর অনুগতরা এখন থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন, তাঁদের নেতাই কাউন্সিলার হবেন। কিন্তু সেটা না হয়ে যদি অন্য কাউকে কাউন্সিলার পদে প্রার্থী করা হয়, তাহলে কি ওই নেতার সাঙ্গপাঙ্গরা মেনে নেবেন? গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি তৈরি হবে না? গেরুয়া শিবির যেভাবে থাবা বসিয়েছে, তাতে বিজেপি যে এই দ্বন্দ্বে লাভবান হবে না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না শাসকদলের কেউই।
গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে দেখা গিয়েছে, কলকাতায় ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫১টিতেই শাসকদলের থেকে বিরোধীরা এগিয়ে। যার মধ্যে ৪৭টিতে বিজেপি এবং চারটিতে বামেরা। বিপর্যয়ের পর শাসকদল আগামী পুরভোট নিয়ে যে সাবধানে পা ফেলতে চাইছে, তা ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই প্রতিটি পদক্ষেপে বুঝিয়ে দিয়েছে। গত পুরভোটে ১৪১ থেকে বেড়ে এবার মোট ওয়ার্ড হয়েছে ১৪৪টি। জোকা গ্রাম পঞ্চায়েত কলকাতা পুরসভার অধীনে আসার পরেই ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ২০২০ সালে মহিলা এবং তফসিলি জাতির জন্য আসন সংরক্ষণের কারণে পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নতুন বিন্যাস হতে চলেছে। প্রাথমিক যে খসড়া তালিকা তৈরি হয়েছে, তাতে মহিলা ওয়ার্ড এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতির জন্য সংরক্ষিত হওয়ার ফলে আগামী পুরভোটে চার মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার, রতন দে, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় এবং স্বপন সমাদ্দার নিজেদের ওয়ার্ডে আর দাঁড়াতে না পারবেন না বলেই মনে হয়। সংরক্ষণের কোপে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ এবং ১৬ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্যের। ২০২০ সালে কলকাতা পুরভোটে মহিলা ওয়ার্ড সংরক্ষণ হচ্ছে ৩, ৬, ৯... ক্রম অনুসারে। অর্থাৎ ৩ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হলে তার পরের দু’টি বাদ দিয়ে তৃতীয়টি ফের মহিলা ওয়ার্ড হবে।