উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
দৃশ্য ২: বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কামারহাটি রথতলায় বিটি রোডের উপরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর ই-৩২ রুটের একটি বাস দেখা মাত্রই প্রায় মাঝরাস্তায় ছুটলেন তাঁরা। ঠাসা ভিড় থাকায় যাত্রী না তুলে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যায় বাসটি।
গত কয়েকদিন ধরে এহেন ‘এগজিকিউটিভ’ বাসে যাতায়াতকারীদের কাছে এই চিত্র নতুন না হলেও, হাই-প্রোফাইল বাসে এমন ভিড় অবাক করেছে অনেককেই। কারণ, ‘ই’ শ্রেণীর বাসে যতগুলি আসন থাকে, ঠিক ততজন যাত্রীকেই বাসে ওঠার অনুমতি দেন কন্ডাক্টররা। এই ধরনের বাসে দাঁড়িয়ে সফর করা যায় না। ঠিক এই কারণেই ই-১ কিংবা ই-৩২ রুটের বাসে এহেন ভিড়ের দৃশ্য বহু যাত্রীর কাছেই অপরিচিত।
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময়ে শহর ও শহরতলির তিনটি রুটে ‘ই’ শ্রেণীর বাস চালানো হতো। রুটগুলি ছিল, ই-১, ই-৪ এবং ই-৩২। ই-১ যায় হাওড়া স্টেশন থেকে যাদবপুর পর্যন্ত। ই-৩২ চলে হাওড়া স্টেশন থেকে নীলগঞ্জ পর্যন্ত। আর ই-৪ যায় হাওড়া স্টেশন থেকে পর্ণশ্রী পর্যন্ত। ই-৪ রুটে বেশ কয়েক মাস ধরেই ‘এগজিকিউটিভ’ বাসের পরিবর্তে এসি বাস চালানো হচ্ছে। বাকি দু’টি রুট যাত্রী মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়। হাওড়া স্টেশনের বাইরে সকাল থেকে বেলা পর্যন্ত ই-১ বাসের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনও পড়ে। সমান জনপ্রিয় ই-৩২ রুটটিও।
কেন এই উলটপুরাণ? নিগম সূত্রের খবর, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য গত কয়েকদিন ধরেই পুণ্যার্থীদের ভিড় সুষ্ঠুভাবে সামাল দিতে পরিষেবা দিচ্ছে সরকারি বাস। ভিড় বেশি থাকায় পূর্ব পরিকল্পনা থেকেও বেশি বাস চালানো হচ্ছে। তার জেরেই নিয়মিত রুটগুলিতে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে। সেই কারণেই দুটি হাই-প্রোফাইল রুটে নিয়মিত যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে বাসে দাঁড়িয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছেন কন্ডাক্টররা। এমনটাই জানিয়েছেন নিগমকর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের এক কর্তা বলেন, গঙ্গাসাগর মেলার জন্যই আপাতত কয়েকদিন ই-শ্রেণীর বাসে দাঁড়িয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজ, শুক্রবার থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করবে।
নিগম সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গঙ্গাসাগর মেলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম এবং এসবিএসটিসি মিলিয়ে প্রায় ৩০০টি বাস চালিয়েছে। পুণ্যার্থীদের সংখ্যা কমে যাওয়ায়, আজ, শুক্রবার মেলার জন্য খুব বেশি বাস প্রয়োজন পড়বে না বলেই মনে করছেন কর্তারা। তাতে নিয়মিত রুটগুলি ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।