শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
যদিও বাড়িটির অন্যান্য তলে আগুনের কোনও আঁচ তেমন পড়েনি বলে সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, এদিন আচমকা বেসমেন্ট থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আগুনের শিখা এবং গল গল করে ধোঁয়া বেরতে দেখে পথচলতি মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। গ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। ফলে আগুনের খবর চাউর হতেই ব্যাঙ্কের কর্মী-আধিকারিকরা দ্রুত নীচে নেমে আসেন। ঘটনার খবর পেয়ে দফায় দফায় দমকলের মোট ১১টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। দমকলের কর্মী-আধিকারিকদের কথায়, বেসমেন্টে আগুন লাগায় দমকলের পাইপ নিয়ে ভিতরে ঢোকা যাচ্ছিল না। ফলে প্রথমদিকে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। ফলে উপরের দিক থেকে ফুটো করে পাইপ দিয়ে জল দেওয়ার কাজ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকলের কর্মীদের কথায়, এত ধোঁয়া বেরচ্ছিল যে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। বহুতলের নীচে গুদাম থাকা সত্ত্বেও কোনও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। যার জেরে অগ্নিকাণ্ডটি বড় আকার নেয়।
দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ১১টি ইঞ্জিন কাজ করেছে। কিন্তু আগুনের থেকেও সমস্যা তৈরি করেছে ধোঁয়া। পাইপ নিয়ে প্রথমে ভিতরে প্রবেশ করা যায়নি। পরে দু’পাশ থেকে ফুটো করে পাইপ ঢুকিয়ে অনেকক্ষণ জল দেওয়া হয়েছে। ধোঁয়া সামান্য নিয়ন্ত্রণে আসার পর দমকলের কর্মীরা ভিতরে ঢুকতে সক্ষম হয়েছেন। পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে দিনের পর দিন এভাবে বেসমেন্টে মালপত্র রাখা হচ্ছিল, তা নিয়ে তদন্ত করা উচিত বলেই জানিয়েছেন দমকলের শীর্ষকর্তারা। ঘটনাস্থলে দমকলের ডিজি জগমোহন বলেন, গুদামের ফরেনসিক পরীক্ষার পরই বোঝা যাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে অনেকটাই সমস্যা হয়েছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এদিকে, ওই বহুতলে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা বলেন, আতঙ্ক তৈরি হলে তাঁদের সংস্থার কোনও ক্ষতি হয়নি। পরিষেবা কিছুক্ষণ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। দমকলের কর্তারা জানিয়েছেন, বহুতলে থাকা লোকজন আগেই নেমে আসেন। ফলে কেউ আটকে পড়ার খবর নেই তাঁদের কাছে।