অভিষেক পাল, রানাঘাট, সংবাদদাতা: পুজোর মরশুমে গাঁদা ফুলের চাহিদা থাকে ঊর্ধ্বমুখী। তাই এই সময় গাঁদা ফুলের চাষ করে সারা বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি লাভের মুখ দেখেন রানাঘাটের নোকারি সহ আশপাশের এলাকার ফুল চাষিরা।
ব্রতীন দাস: শীতের পেঁয়াজ চাষের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে এখনই। এমনটাই বলছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের সুপারিশ, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই রবি মরশুমে চাষের জন্য পেঁয়াজের বীজতলা তৈরির কাজ শেষ করে ফেলতে হবে।
কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
সুদেব দাস, আরামবাগ: আরামবাগে পানিফল চাষে তিনগুণ লাভ হওয়ায় খুশি চাষিরা। শীতের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে ওই পানিফল। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় পানিফলের চাষ শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে কমবেশি এই ফলের চাষ হচ্ছে। তবে কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে চাষিদের এ ব্যাপারে তেমন কোনও প্রশিক্ষণ বা পরামর্শ দেওয়ার কাজ এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি। আরামবাগ ব্লক কৃষি আধিকারিক শুভম প্রামাণিক বলেন, দপ্তরের পক্ষ থেকে চাষিদের পানিফল চাষের ক্ষেত্রে তেমনভাবে প্রশিক্ষণ বা প্রযুক্তিগত পদ্ধতি সম্বন্ধে পরামর্শের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে বর্তমানে পানিফল চাষ করে চাষিরা ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন। তাঁরা চাইলে, অবশ্যই কৃষি দপ্তর আগামীদিনে এই চাষের উপর জোর দেবে।
মূলত আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুলের বেশকিছু এলাকায় চাষের জমি সংলগ্ন জলা জমিতে পানিফল চাষ করা হচ্ছে। এই ফল চাষ করতে প্রায় আট মাস সময় লাগে। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম দিকে শুরু হয় পানিফলের গাছ লাগানোর কাজ। এরপর ভাদ্র মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত জলাজমি থেকে পানিফল তোলার কাজ চলে। পাশাপাশি অনেক জায়গায় আবার একই জলাশয়ে পানিফল চাষের পাশাপাশি পোনা মাছ চাষ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
এ ব্যাপারে আরামবাগের সরাইঘাটা এলাকার চাষি সঞ্জয় মালিক বলেন, মূলত এই চাষ নিচু জলাশয়ে হয়। ফলন ভালো পাওয়ার ক্ষেত্রে বৃষ্টির জলের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল হতে হয়। বর্তমানে এক বিঘা জলা জমি লিজ নিয়ে সব মিলিয়ে পানিফল চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ১২ হাজার টাকা। কিন্তু, ভালো ফলন হলে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।
মূলত দুর্গাপুজোর বেশ কয়েকদিন আগে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ফলের বাজারে পানিফলের চাহিদা বাড়তে শুরু করে। এরপর সরস্বতী পুজো পর্যন্ত এই ফলের ব্যাপক চাহিদা থাকে। আরামবাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে বর্তমানে বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান, কলকাতা, হাওড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে এই ফল। হারা প্রামাণিক নামে এক চাষি বলেন, মূলত আমাদের জমি না থাকার কারণে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে এক বিঘা জমি লিজ নিয়েছি। এবছর ভালো ফলন হয়েছে। এক বিঘা জমি থেকে সপ্তাহে প্রায় তিন কুইন্টাল পর্যন্ত পানিফল তোলা সম্ভব। বাজার ভালো থাকায় এখন নাওয়া-খাওয়া ভুলে অধিকাংশ পানিফল চাষিই জলাশয় থেকে ফল তোলার কাজে ব্যস্ত।
মূলত আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুলের বেশকিছু এলাকায় চাষের জমি সংলগ্ন জলা জমিতে পানিফল চাষ করা হচ্ছে। এই ফল চাষ করতে প্রায় আট মাস সময় লাগে। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম দিকে শুরু হয় পানিফলের গাছ লাগানোর কাজ। এরপর ভাদ্র মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত জলাজমি থেকে পানিফল তোলার কাজ চলে। পাশাপাশি অনেক জায়গায় আবার একই জলাশয়ে পানিফল চাষের পাশাপাশি পোনা মাছ চাষ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
এ ব্যাপারে আরামবাগের সরাইঘাটা এলাকার চাষি সঞ্জয় মালিক বলেন, মূলত এই চাষ নিচু জলাশয়ে হয়। ফলন ভালো পাওয়ার ক্ষেত্রে বৃষ্টির জলের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল হতে হয়। বর্তমানে এক বিঘা জলা জমি লিজ নিয়ে সব মিলিয়ে পানিফল চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ১২ হাজার টাকা। কিন্তু, ভালো ফলন হলে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।
মূলত দুর্গাপুজোর বেশ কয়েকদিন আগে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ফলের বাজারে পানিফলের চাহিদা বাড়তে শুরু করে। এরপর সরস্বতী পুজো পর্যন্ত এই ফলের ব্যাপক চাহিদা থাকে। আরামবাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে বর্তমানে বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান, কলকাতা, হাওড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে এই ফল। হারা প্রামাণিক নামে এক চাষি বলেন, মূলত আমাদের জমি না থাকার কারণে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে এক বিঘা জমি লিজ নিয়েছি। এবছর ভালো ফলন হয়েছে। এক বিঘা জমি থেকে সপ্তাহে প্রায় তিন কুইন্টাল পর্যন্ত পানিফল তোলা সম্ভব। বাজার ভালো থাকায় এখন নাওয়া-খাওয়া ভুলে অধিকাংশ পানিফল চাষিই জলাশয় থেকে ফল তোলার কাজে ব্যস্ত।
