Bartaman Patrika
 

পেশাদারিত্ব না এলে ভালো থিয়েটার হবে না 

...বলতেন প্রয়াত নট ও পরিচালক অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল তাঁর ৮৬তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষে তাঁকে স্মরণ করলেন তাঁর শিষ্য প্রকাশ ভট্টাচার্য।

আধুনিক বাংলা থিয়েটারে শম্ভু মিত্র বা উৎপল দত্তের সঙ্গে যার নাম সমানভাবে উচ্চারিত হয়, তিনি অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার সৌভাগ্য বেশ কিছুদিন তাঁর সঙ্গে থিয়েটার করার সুযোগ আমার হয়েছিল। সেইসব সময়ের কথা আজ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। যা আজও আমাকে সৎ থিয়েটার করার প্রেরণা জোগায়।
সেটা সম্ভবত ১৯৭২ সাল। আমি তখন মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা কোম্পানিতে চাকরি করি। আমাদের অফিসেই কাজ করতেন রবিন চক্রবর্তী। রবিনদা তখন নান্দীকারের নিয়মিত অভিনেতা। আমি রবিনদাকে গিয়ে বললাম – আমাকে নান্দীকারে নিয়ে যেতে পারেন? আমার খুব ইচ্ছে নান্দীকার নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হই। বেশ কিছুদিন বলার পরে, আমার আবদারে রবিনদা রাজি হলেন এবং আমাকে নিয়ে গেলেন অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। নান্দীকার তখন রঙ্গনায় নিয়মিত অভিনয় করত। রঙ্গনার দোতলায় অজিতদার গ্রিনরুম। সেই প্রথম চাক্ষুষ করলাম তাঁকে। গম্ভীর গলায় বললেন- ‘কী করো?’ আমি বললাম চাকরি করি। উনি বললেন – ‘আগে কোনওদিন থিয়েটার করেছ?’ আমি বললাম, হ্যাঁ। প্রথমে স্কুলে তারপরে পাড়ায়। আমায় দেখে বা আমার কথা শুনে ওনার কী মনে হল জানি না, কিন্তু অনুমতি দিলেন। বললেন –‘ঠিক আছে, কাল থেকে নান্দীকারে এস’ ।
পরেরদিন সন্ধেবেলায়, শ্যামবাজারে, নান্দীকারের দলের ঘরে গিয়ে আমি হাজির হলাম। কত মানুষ, বাইরের বড় ঘরে সবাই বসে আছেন – কেউ মোড়ায়, কেউ টুলে। আমিও খুব সন্তর্পণে একটা মোড়ায় গিয়ে বসলাম। পাশের ঘরে অজিতদা, কেয়াদি আর পরিমলদা ( মুখার্জি) স্ক্রিপ্ট লিখছেন। কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ অজিতদা পাশের ঘর থেকে ওই ঘরে এলেন। এসেই বললেন – ‘সবাই শোনো তো, এই দৃশ্যটা কেমন হলো?’ বলেই পড়তে শুরু করলেন। ওই গম্ভীর গলা, ওই বিশাল চেহারা – আমি শুধু মন্ত্রমুগ্ধের মতো ওনাকে দেখছি। প্রায় ছেলেমানুষের মতো সব্বাইকে জিজ্ঞেস করছেন- ‘কী, কেমন লাগছে?’ আমরা সবাই বললাম , খুব ভালো। উনি ‘ভালো লাগছে তো?’ বলে হাসতে হাসতে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। সেদিন নান্দীকারের বাথরুমে রাজমিস্ত্রী কাজ করছিল। মেঝেতে কাঁচা সিমেন্ট আর বাইরে লেখা – ‘কেউ বাথরুমে যাবেন না’। অজিতদা পাশের ঘরে যাওয়ার আগে, বাথরুমে কেমন কাজ হয়েছে দেখতে গেলেন। দেখলেন ওই কাঁচা সিমেন্টের উপর কারও একটা জুতোর ছাপ। শিশুর মতো সরল মানুষটা হঠাৎ পাল্টে গেলেন। আবার ঘরে ঢুকে সবাইকে জিজ্ঞেস করলেন ( একটু রাগত স্বরেই) – ‘কে কে গিয়েছিল বাথরুমে?’ সবাই নিঃশ্চুপ। উনি বললেন –‘কেউ যায়নি, অথচ এমনি এমনি কাঁচা সিমেন্টে জুতোর ছাপ পড়ে গেল?’ এই বলে গজগজ করতে করতে পাশের ঘরে চলে গেলেন।
মিনিট দশ-পনেরো পর আবার এই ঘরে এলেন। এবার বললেন – ‘দেখি দেখি, সবাই পা তোলো তো’। ওই প্রথমদিনে আমিও ভয়ে ভয়ে আমার পা তুলে অজিতদাকে জুতো দেখালাম। উনি দেখলেন, কারও জুতোর ছাপ বাথরুমের জুতোর ছাপের সাথে মিলছে না। উনি আবার রেগে পাশের ঘরে চলে গেলেন। আবার মিনিট দশেক পরে এঘরে এলেন। জিজ্ঞেস করলেন – ‘মঞ্জু ( ভট্টাচার্য ) কোথায়?’ তখন দলের খুবই প্রাচীন সদস্য, অরুণ চট্টোপাধ্যায় বললেন, মঞ্জু চলে গেছে। অজিতদা বললেন – ‘ওটা মঞ্জুর জুতোর ছাপ’। তখন অরুণদা মাথা নিচু করে বললেন, হ্যাঁ, মঞ্জু একবার বাথরুমে গিয়েছিল বটে। অজিতদা বললেন, ‘আপনি এতক্ষণ আমাকে বললেন না! আমি তখন থেকে ভাবছি , আমি কাদের সাথে থিয়েটার করি যারা একটা সত্যি কথা বলতে পারে না! আপনি আমার থিয়েটারের আধঘন্টা সময় নষ্ট করে দিলেন’! বলেই হো হো করে হাসতে হাসতে পাশের ঘরে চলে গেলেন। সেইদিন অজিতদাকে দেখলাম – কত সহজে একটা শিশুর মতো মানুষ রেগে গেলেন, আবার সত্য আবিষ্কার করার পরে আবার আগের মতো সহজ, সরল হয়ে গেলেন। সেই প্রথমদিনের ঘটনাতেই শিখলাম যে, থিয়েটার করতে হলে সত্যি কথা বলতে হয়।
আস্তে আস্তে নান্দীকারের নিয়মিত কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত হতে শুরু করলাম। প্রথমে আমার দায়িত্ব পড়ল গ্রিনরুমের দরজায় পাহারা দেওয়ার। আমার উপর নির্দেশ ছিল, ফার্স্ট বেল পড়ার পরে যদি কেউ কারও সঙ্গে দেখা করতে আসেন তার কাছে জানতে চাওয়া যে তিনি নাটক দেখবেন কিনা এবং তাকে টিকিট দিয়ে বলে দেওয়া যে, তিনি যেন অভিনয়ের শেষে ভিতরে এসে তার পরিচিত মানুষের সাথে দেখা করেন। সেইমতো আমিও দলের নির্দেশ পালন করে চলতাম। একদিন ঠিক অভিনয় শুরুর আগে , ধুতি-পাঞ্জাবি পরা একজন বেশ লম্বা, ফর্সা, সুপুরুষ এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন –‘ অজিত আছে?’ আমিও নিয়মমতো তাঁকে বললাম, আছেন, কিন্তু একটু পরেই তো অভিনয় শুরু হবে। আপনি নাটক দেখতে চাইলে আমি আপনাকে বসিয়ে দিয়ে আসছি, আপনি নাটকের শেষে এসে দেখা করতে পারেন। আমাদের মধ্যে যখন এইসব কথা চলছে, কোনও কারণে অজিতদা সেইসময় সেখানে এসেছিলেন। উনি আমাদের দেখতে পেয়ে প্রায় ছুটে এসে ভদ্রলোককে প্রণাম করে বললেন –‘স্যার, আপনি এসেছেন। খুব ভালো লাগছে।’ আমাকে বললেন, ওনাকে সামনে নিয়ে গিয়ে বসাতে। আমি যথারীতি ওনাকে সামনের সারিতে বসিয়ে দিয়ে এলাম। অজিতদা আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন – ‘তুমি চেনো ওনাকে?’ আমি বললাম –না। অজিতদা বললেন – ‘ উনি আমার মাস্টারমশাই, বাংলা থিয়েটারের খ্যাতনামা নির্দেশক, অভিনেতা – মহেন্দ্র গুপ্ত।’ আমি বুঝলাম, নান্দীকারে আজই আমার শেষদিন। অজিতদার মাষ্টারমশাইকে আটকে দিয়েছি। আমি খুব ভয়ে ভয়ে বললাম, আমি তো চিনি না ওনাকে ... তাই ওনাকেও.... আমার কথা শেষ করতে না দিয়ে অজিতদা বললেন – ‘না না, তুমি ঠিক করেছ। কিন্তু এইসব গুণী মানুষদের চিনতে হবে তো! থিয়েটার করবে আর অগ্রজদের চিনবে না, এটা তো ঠিক নয়’। এও আমার নতুন করে শেখা। এইভাবেই ধীরে ধীরে শিখতে শুরু করলাম।
এর কিছুদিন পরে আমার উপর দায়িত্ব পড়ল পোশাক বিভাগের। যদিও পোশাক বিভাগে একজন পেশাদার মানুষ নিযুক্ত ছিলেন, তবুও তার সমস্ত কাজ দেখাশোনার জন্য আমি নিযুক্ত হলাম। রঙ্গনায় তখন ‘নটী বিনোদিনী’ নাটক হচ্ছে। ওই নাটকে অজিতদা গিরিশ ঘোষের চরিত্রে অভিনয় করতেন। অভিনয়ের সময় সব অভিনেতারা মঞ্চে বসে থাকতেন। যার যখন চরিত্র আসত তিনি উঠে গিয়ে অভিনয় করতেন, আবার এসে মঞ্চের পিছন দিকের চেয়ারে বসতেন। একটি দৃশ্যে গিরিশ ঘোষ মঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসতেন, তাকে একটা কালো কোট পরানো হতো এবং তারপর উনি আবার অভিনয়ে চলে যেতেন। আমার সঙ্গে পোশাকের দায়িত্বে থাকা ছেলেটির কাজ ছিল ওই কোটটি অজিতদাকে পরিয়ে দেওয়া। একদিন কোনও কারণে ছেলেটি গ্রিনরুম থেকে কোটটি আনতে দেরি করে ও সিঁড়ি দিয়ে তাড়াতাড়ি নামতে গিয়ে পড়ে যায়। তাতে ওর খুব লাগে আর আওয়াজও হয়। অজিতদা কোট পরে নিয়ে মঞ্চে গিয়ে অভিনয় করলেন। অভিনয়ের শেষে পর্দা পড়ে যাওয়ার পর সবাইকে মঞ্চে ডাকলেন। জিজ্ঞাসা করলেন আওয়াজ হলো কেন? ছেলেটি বলল, ‘আমি সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পড়ে যাওয়ায় আওয়াজ হয়েছে আর আমার কোমরেও খুব লেগেছে, ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি’। অজিতদা ওর কোনও কথাই শুনলেন না। বললেন – ‘ দর্শকরা টাকা দিয়ে টিকিট কেটে অভিনয় দেখার জন্য এসেছেন। তোমার পড়ে যাওয়ার আওয়াজ শোনার জন্য নয়।’ তারপর আরও বকাবকি করলেন। এইরকম ছিল তখন ব্যাকস্টেজের ব্যবস্থা। কোনও আওয়াজ, কোনও কথা— কিছু হবে না। উইংয়ের দুদিকে দুজন উইং গার্ড থাকত। তবেই না ওইসব ইতিহাস সৃষ্টিকারী প্রযোজনা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে! আজ কি আমরা এতটা সুশৃঙ্খল ভাবে থিয়েটার করি? প্রশ্ন থেকে যায়।
সেইসময় আমরা যারা নান্দীকারে নতুন এসেছিলাম, তাদের নিয়ে রাতে অভিনয়ের পরে থিয়েটারের ক্লাস নিতেন অজিতদা। রঙ্গনার ওই ছোট্ট গ্রিনরুমে। অভিনয়ের শেষে একটুও ক্লান্তি তাঁকে স্পর্শ করত না। মনে আছে, একদিন ‘মঞ্চসজ্জার বিবর্তন’ নিয়ে আমাদের ক্লাস নিয়েছিলেন। কীভাবে ন্যাচারালিস্টিক সেট ছিল শুরুতে। বিদেশে ‘মঞ্জরী আমের মঞ্জরী’ নাটকে আমের মঞ্জরী রাখা হতো মঞ্চে, যাতে তার গন্ধ দর্শকদের নাকে যায়, মঞ্চে ঘোড়া উঠে আসত। কিন্তু সেটা বেশীদিন সম্ভব হয়নি। কারণ ন্যাচারালিস্টিকের তো শেষ নেই, কত ন্যাচারাল হবে? তারপর এল রিয়েলিস্টিক সেট, তার থেকে সাজেস্টিভ সেট... এইভাবে তিনি আমাদের পড়িয়েছিলেন। আজও চোখে ভাসছে সেইসব দিনের কথা। হায়! আজ থিয়েটারে সেইসব চর্চা কোথায় ?
তিনি সব সময় ভাবতেন কী করে থিয়েটারকে পেশাদার করা যায়। কারণ বলতেন থিয়েটারকে পেশাদার না করলে ভালো থিয়েটার করা যাবে না। এই পেশাদারিত্বের ভাবনা থেকে তিনি দলের শিল্পী, কর্মীদের জন্য একটি ‘পেমেন্ট স্ট্রাকচার’ তৈরি করেছিলেন। কর্মভিত্তিক পয়সা। সেই কাঠামোটা যে কত বৈজ্ঞানিক তা বলে বোঝানো যাবে না। যদিও তখন পয়সা দেওয়া যায়নি, কিন্তু দলে পয়সা এলে তা কীভাবে সবাইয়ের মধ্যে বিতরণ করা হবে তা ঠিক করেছিলেন।
তখন কত গুণীজন একসঙ্গে নান্দীকারে ছিলেন। তাঁদের দেখেছি কী কর্মঠ ছিলেন তাঁরা। ‘ভালোমানুষ’ নাটকের মহড়া চলছে নান্দীকারের ওই ছোট ঘরে। আটঘোড়ার নাচ তৈরি হয়েছে ঐ ছোট ঘরে। প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী শম্ভু ভট্টাচার্য এসে মহলা দেওয়াতেন। এত কষ্ট করে তখন নাটক তৈরি হয়েছে তা ভাবা যায় না। সেই ভিত তৈরি হয়েছিল বলেই নান্দীকার আজও দাঁড়িয়ে আছে। শুধু দল হিসাবে নয়, একটা প্রতিষ্ঠান হয়ে। আমি গর্বিত যে, সেই দলের একজন সামান্য কর্মী আমিও ছিলাম। খুব অকালে চলে গেলেন অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের অজিতদা। আরও দশ বছর বেঁচে থাকলে আমাদের বাংলা থিয়েটার যে কতটা ঋদ্ধ হতো, তা লিখে বোঝানো সম্ভব না। ৩০শে সেপ্টেম্বর অজিতদার জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনে একজন সাধারণ নাট্যকর্মীর বিনম্র প্রণাম।। 
05th  October, 2019
থিয়েলাভার্সের দুটি নাটক 

থিয়েলার্ভাস প্রযোজিত দুটি ভিন্নধর্মী নাটক ‘অনার্যবারতা ও পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির আর্থিক সহায়তায় কর্মশালা ভিত্তিক ‘গাজনাচরের বাজনা’ মঞ্চস্থ হল গিরিশ মঞ্চে। সময়, কাল ও নিয়তি— এই তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে সকলের ভাগ্য। এরাই নির্ধারণ করে প্রত্যেকের গন্তব্য।  
বিশদ

05th  October, 2019
দুটি চেয়ার কেন? 

অগ্রজকে কীভাবে সম্মান জানাতে হয় তা শিখেছিলেন বিভাস চক্রবর্তীর থেকেই। তাঁর আসন্ন জন্মদিন উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করলেন প্রকাশ ভট্টাচার্য।  বিশদ

21st  September, 2019
চণ্ডীতলা প্রম্পটারের কলাকেন্দ্র 

হুগলি জেলার বরিজাহাটি অঞ্চলে নাটকের দল চণ্ডীতলা প্রম্পটারের নিজস্ব উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে একটি নাট্যগৃহ ‘কলাকেন্দ্র’-র। আদতে এটি একটি মুক্তমঞ্চ। গত ৮ সেপ্টম্বর নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু এটির উদ্বোধন করেন। 
বিশদ

21st  September, 2019
নট চিন্ময় রায় 

‘চিন্ময় রায় কিন্তু নাটকেরও মানুষ ছিলেন’— মনে করিয়ে দিয়েছেন বিভাস চক্রবর্তী। আসলে ব্যবসায়িক সিনেমায় কমেডিয়ান হিসেবে চিন্ময় রায়ের নামডাকের আড়ালে তাঁর নাটকের সত্তা ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। নান্দীকারের সদস্য হিসেবে শুরু করেছিলেন অভিনয় জীবন। পরে ১৯ জন মিলে সে দল ছেড়ে গড়ে তোলেন ‘থিয়েটার ওয়ার্কশপ’। 
বিশদ

21st  September, 2019
বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষ উপলক্ষে ভ্রান্তিবিলাস 

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম বাংলার নবজাগরণের একেবারে উপরের সারিতে রয়েছে। বাংলা ভাষা ও সমাজ সংস্কারের কাজ ছাড়াও তিনি বেশকিছু সুখপাঠ্য গল্প, উপন্যাস লিখেছিলেন। তারই একটি ভ্রান্তিবিলাস। শেক্সপিয়রের লেখা ‘কমেডি অব এররস’ অবলম্বনে কাহিনীটি লিখেছিলেন বিদ্যাসাগর। 
বিশদ

21st  September, 2019
নতুন নাটক আজীর 

মহাশ্বেতা দেবীর লেখা গল্প ‘আজীর’ অবলম্বনে ‘নব বারাকপুর কোরাস থিয়েটার’ নির্মাণ করেছে তাদের নতুন নাটক ‘আজীর’। এ গল্প হল সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার নিষ্ঠুরতার এক জ্বলন্ত দলিল।  
বিশদ

21st  September, 2019
আশুতোষ মুখোপাধ্যায় স্মারক নাট্যোৎসব 

সাহিত্যিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষ আগতপ্রায়। সেই উপলক্ষে গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী এক নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে কালীঘাটের যোগেশ মাইম অ্যাকাডেমি মঞ্চে। 
বিশদ

21st  September, 2019
তাপসদাকে আজ
বড় প্রয়োজন ছিল

তাঁকে বলা হত আলোর জাদুকর। আলোকশিল্পী হিসেবে বিশ্বজোড়া তাঁর খ্যাতি। গত ১১ সেপ্টেম্বর ছিল সেই প্রয়াত তাপস সেনের জন্মদিন। তাঁকে কাছ থেকে দেখার সুবাদে স্মৃতিচারণ করলেন প্রকাশ ভট্টাচার্য। বিশদ

14th  September, 2019
বাংলা থিয়েটার
এখন কাগুজে বাঘ

 আজকের বাংলা থিয়েটারে ব্যস্ততম অভিনেতার নাম প্রসেনজিৎ বর্ধন। তাঁর সঙ্গে কথোপকথনে শুভঙ্কর গুহ। বিশদ

14th  September, 2019
বাবলীর বাবা কি শুধু পথের কাঁটা
আকাশবাণী’র ‘কালো মেয়ের রাঙা চরণ

 জন মনোরঞ্জনে জনতার আদালতে চৌখস পালা নিয়ে হাজির হচ্ছে সোনার বাংলা যাত্রা সংস্থা। সঞ্জীব দলুই ও সঞ্জীব ভট্টাচার্য প্রযোজিত এই অপেরার পালার নাম ‘বাবা কি শুধু পথের কাঁটা’। নামটাই জানান দিচ্ছে বর্তমান সমাজ সংসার আর সিস্টেমকে ঘিরে অত্যন্ত বাস্তবমুখী এই পালা। বিশদ

14th  September, 2019
প্রতিমাসে বাংলা নাটকের মেলা 

গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে তৃপ্তি মিত্র নাট্যগৃহে শুরু হয়েছে বাংলা নাটকের মেলা। আয়োজক বোড়াই ইতি থিয়েটার। সঙ্গে রয়েছে কালিন্দী নাট্যসৃজন, বাঘাযতীন আলাপ, সবুজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সরস্বতী কলামন্দির, কোলকাতা নাট্যসেনা সহ বাংলার মোট ২৫টি নাট্যদল।  বিশদ

07th  September, 2019
অশনির নিয়মিত অভিনয়ের একযুগ 

একযুগ আগে নিয়মিত নাটক অভিনয়ের বাসনা নিয়ে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল গড়িয়ার অশনি নাট্যম সংস্থা। সেটা ছিল ২০০৭ সালের অক্টোবর মাস। গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলের চার-পাঁচটি সমমনস্ক দলকে সঙ্গী করে কলকাতার হাজরা মোড়ের সুজাতা সদনে শুরু হয়েছিল নিয়মিত নাট্য অভিনয়।  বিশদ

07th  September, 2019
অঙ্গন ৩৩ ও ব্রাত্য বসু 

বেলঘরিয়ার অঙ্গন নাট্যদল ৩৩ বছরে পা দিল। এই উপলক্ষে নাট্যদলটির সাম্প্রতিক নাটক ‘টম অ্যান্ড জেরি’-র একটি বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল অ্যাকডেমি মঞ্চে। নাটকের আগে সংবর্ধনা জানানো হয় ব্রাত্য বসুকে।   বিশদ

07th  September, 2019
ধর্মের মিথ্যা বুলি আউড়ে আজও
মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব লাগানো হয় 

বহুবার, বিভিন্ন সময়ে মঞ্চস্থ হওয়া রবীন্দ্রনাথের ‘বিসর্জন’-কে আবার মঞ্চে ফিরিয়ে আনল ‘থেসপিয়ানস’ নাট্য সংস্থা। বহু চর্চিত, আলোচিত, এই নাটকের বিষয়। এই সময়ে দাঁড়িয়ে নাটকটির প্রাসঙ্গিকতাকে নতুন করে উপলব্ধির পথটা করে দিল থেসপিয়ানস।   বিশদ

07th  September, 2019

Pages: 12345

একনজরে
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: ৬৫তম স্কুল গেমসে যোগাসনে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সোনা পেল কোতুলপুরের সাত্ত্বিক ভট্টাচার্য ও বিপ্রতীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাত্ত্বিক অনূর্ধ্ব ১৭ এবং বিপ্রতীপ অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।  ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়ায় সুপারিশ করা মানেই তা কার্যকর করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। শুক্রবার কলকাতায় এক বণিকসভার সভায় এসে এমনই মন্তব্য করলেন জাতীয় খসড়া শিক্ষানীতি কমিটির চেয়ারম্যান কৃষ্ণস্বামী কস্তুরীরঙ্গন। ...

 ওয়াশিংটন, ৮ নভেম্বর (পিটিআই): আগামী সপ্তাহেই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি দেশ সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার। এই সফরকে তাঁদের অগ্রাধিকারের জায়গা বলেই দাবি করেছে পেন্টাগন। ...

বিএনএ, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে বিজেপির মণ্ডল কমিটি গঠন নিয়ে নব্য ও আদিদের মধ্যে কোন্দল তুঙ্গে উঠেছে। দ্বন্দ্বের কারণে তারা বহরমপুর উত্তর এবং দক্ষিণ মণ্ডল কমিটির সভাপতির নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনচন্দ্র পালের জন্ম
১৮৬২: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের মৃত্যু
১৮৬৭: বিজ্ঞানী মেরি কুরির জন্ম
১৮৮৮: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরমনের জন্ম
১৯২৩: সাহিত্যিক ও সমাজসেবী অশ্বিনীকুমার দত্তের মৃত্যু
১৯৫৪: অভিনেতা কমল হাসানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী রাইমা সেনের জন্ম

07th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৯ টাকা ৭২.০৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৬৮ টাকা ৯২.৯২ টাকা
ইউরো ৭৭.২৫ টাকা ৮০.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৫৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,১৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ কার্তিক ১৪২৬, ৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, দ্বাদশী ২২/৬ দিবা ২/৪০। উত্তরভাদ্রপদ ২২/৪৬ দিবা ২/৫৬। সূ উ ৫/৪৯/২, অ ৪/৫১/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৭/১৭ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/২২ মধ্যে, বারবেলা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১২ গতে উদয়াবধি।
২২ কার্তিক ১৪২৬, ৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, দ্বাদশী ২১/১২/৩৯ দিবা ২/১৯/৫। উত্তরভাদ্রপদ ২৪/২৩/৮ দিবা ৩/৩৫/১৬, সূ উ ৫/৫০/১, অ ৪/৫২/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৫ মধ্যে ও ৭/২৮ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৪৩ গতে ২/২৯ মধ্যে, বারবেলা ১২/৪৪/১৩ গতে ২/৭/৩ মধ্যে, কালবেলা ৭/১২/৫১ মধ্যে ও ৩/২৯/৫৩ গতে ৪/৫২/৪৩ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/৫৩ মধ্যে ও ৪/১২/৫১ গতে ৫/৫০/৪০ মধ্যে।
১১ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। বৃষ: কর্মে পদোন্নতির সম্ভাবনা। মিথুন: অর্থপ্রাপ্তির ...বিশদ

07:11:04 PM

আজ বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বাস পরিষেবা

 বুলবুলের জেরে বন্ধ কলকাতা বিমানবন্দর। তাই বিমানবন্দরে থাকা যাত্রীদের ফেরাতে ...বিশদ

07:36:49 PM

সাগরে আছড়ে পড়ল বুলবুল 
সাগরদ্বীপে ঘণ্টায় ১২০ কিমি বেগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এর ...বিশদ

06:45:00 PM

আদালতের রায় খোলা মনে স্বীকার করেছে দেশ: মোদি 

06:12:01 PM

ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে হবে: মোদি 

06:12:00 PM

আসুন সবাই মিলে নতুন ভারত নির্মাণ করি: মোদি 

06:12:00 PM