শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
মেলা উদ্বোধনের পর দ্বিতীয় রবিবার ছিল এদিন। বিকেল যত সন্ধ্যার দিকে গড়িয়েছে, ততই ভিড় বেড়েছে। তবে মেলায় আসা-যাওয়ার জন্য যানবাহনের সমস্যায় ভুগতে হয়েছে মানুষকে। এদিন বিকেলে মেলায় গিয়ে দেখা গেল, ইকো পার্কের বিশাল জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে বহু স্টল। এক-একটি জেলার নামে একাধিক স্টলও রয়েছে। রাস্তার দু’পাশেও ঘর সাজানো থেকে শুরু করে জাঙ্ক জুয়েলারি, ঘর-গেরস্থালির প্রয়োজনীয় নানা জিনিসের পসরা। আলাদা করে বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে ফার্নিচার জোন। সেখানে বেতের চেয়ার-টেবিল যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে টেরাকোটার সুদৃশ্য স্মারক, মুখোশ, ফুলের টব সহ নানা সামগ্রী। আর সব সামগ্রীতেই বিশেষ বিশেষ নান্দনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কোনও চেয়ার হয়তো বানানো হয়েছে একটি সম্পূর্ণ গাছের গুঁড়ি খোদাই করে। তো কোনও আরাম কেদারার গায়ে করা হয়েছে সুদৃশ্য খোদাই। শিল্পী-কারিগররা বিক্রিবাটার ফাঁকে মেলার মাঠে বসেই নানা সামগ্রী বানাচ্ছেন।
কথা হচ্ছিল কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ থেকে আসা বলরাম শীলের সঙ্গে। তিনি কাঠের টুল, চেয়ার সহ নানা সামগ্রী বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, মিলন মেলায় এতদিনে মেলা জমে যেত। রবিবার মানে তো খুব ভালো বিক্রিবাটা হতো। তবে এখানেও তো গত বছর থেকে হচ্ছে। লোকজন এতদিনে জেনে গিয়েছে নিশ্চয়ই। আরেকটু ঠান্ডা পড়লে লোকজন বেশি আসবে বলে মনে হচ্ছে। এখন তো দুপুরবেলা গরম লাগছে এখানে। তাহলে কীভাবে লোক মেলা ঘোরার মজা পাবে বলুন। উত্তর ২৪ পরগনার ‘ইছামতী’ স্টলে কথা হচ্ছিল বিশাখা চক্রবর্তীর সঙ্গে। ধান, মাছের আঁশ, এমনকী স্রেফ খবরের কাগজ দিয়ে অলঙ্কার বানিয়েছেন তিনি। বিক্রি হচ্ছে ভালোই। বিশাখাদেবীও এই মেলায় আসছেন গত ৬-৭ বছর ধরে। তিনি বলেন, মেলা অনেকদিন চলবে। আরও দু’টো করে শনি ও রবিবার তো পাওয়া যাবে। আশা করছি, আরও মানুষ আসতে শুরু করবেন।
মেলার ফুডকোর্টে যথারীতি বহু মানুষের ভিড়। সেখানে গ্রামবাংলার পিঠেপুলি থেকে শুরু করে হাল-আমলের ফাস্টফুডের দোকান। তবে দরদাম শুনে অনেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন। বেলঘরিয়া থেকে মেলায় এদিন এসেছিলেন অমিতাভ বসু ও তাঁর স্ত্রী ভাস্বতীদেবী। তাঁরা বলেন, এই মেলাটা ঘুরে দেখতেও ভালো লাগে। কত নতুন নতুন হাতের কাজ। কেনাকাটাও করি। তবে মিলন মেলার মাঠের তুলনায় লোকজন যে এখানে কম, তা স্বীকার করলেন তাঁরা। শীত এলে কলকাতার মুখ্য আকর্ষণ হয়ে ওঠে বইমেলা। গত কয়েক বছরে হস্তশিল্প মেলাও শহরবাসীর কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে ঠাঁই নাড়ায় কিছু সমস্যা হলেও মেলার অনেকদিন ধরে চলায় সমস্যা মিটে যাবে বলে আশাবাদী কয়েকহাজার হস্তশিল্পী, কারিগর।