শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
কলকাতা ও সন্নিহিত অঞ্চলে বাণিজ্যিক এলাকা ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে কী বলছে সমীক্ষাটি? তারা জানাচ্ছে, এখানে ৮২ লক্ষ বর্গফুট এলাকা রয়েছে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য। অথচ বাজারের চাহিদা নাকি তেমন নয়। সমীক্ষাকারীদের হিসেব, এখন কলকাতায় বাণিজ্যিক এলাকা ভাড়া নেওয়ার চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৯ লক্ষ বর্গফুট। এই যেখানে অবস্থা, সেখানে ভাড়া কেমন? সমীক্ষাটি জানাচ্ছে, যে এলাকাগুলি বাণিজ্যিক কাজের জন্য সবচেয়ে ব্যস্ত বলে চিহ্নিত, সেখানে ২০১৫ সালে প্রতি বর্গফুটের মাসিক ভাড়া মিলত গড়ে ১০০ টাকা। ২০১৬ সাল থেকেই সেই চাহিদায় টান পড়েছে। ফলে ২০১৬ সাল থেকে সেখানে ভাড়া নেমে দাঁড়ায় বর্গফুট পিছু ৯৫ টাকায়। ২০১৯ সালের অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও, ভাড়ার অঙ্ক বাড়েনি। আবার কলকাতার অপেক্ষাকৃত প্রান্তিক এলাকার ছবিও প্রায় একই রকম। যেখানে ২০১৫ সালে বর্গফুট পিছু ওই এলাকায় মাসিক ভাড়া ছিল ৪৫ টাকা, সেখানে তা এখন নেমে এসেছে ৪০ টাকায়। অফিস এলাকা হিসেবে মোটামুটি পরিচিতি আছে, এমন এলাকার ক্ষেত্রে ২০১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ভাড়ার কোনও পরিবর্তন সেভাবে হয়নি, এমনটাই বলছে সমীক্ষাটি। তাদের বক্তব্য, আগে যেখানে মাসে বর্গফুট পিছু ৭৫ টাকা ভাড়া পাওয়া যেত, এখনও তাই-ই যায়। জনপ্রিয়, মাঝারি খ্যাতি আছে এবং প্রান্তিক— এই তিনভাগে বাণিজ্যিক এলাকাগুলিকে ভাগ করা হয়েছে সমীক্ষাটিতে। সমীক্ষাটি বলছে, বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারযোগ্য এলাকা ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে সিংহভাগ জায়গা রয়েছে প্রান্তিক এলাকায়। তার হার ৮৩ শতাংশ। ন’শতাংশ দখল করে রেখেছে মাঝারি মানের জনপ্রিয় জায়গা। কলকাতার জনপ্রিয় বা পরিচিত অফিসপাড়া হিসেবে যে জায়গাগুলি আছে, তার হার মোট এলাকার আট শতাংশ, বলছে সমীক্ষাটি। পাশাপাশি ওই সমীক্ষাকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি প্রকল্প আসছে শহরে, যেগুলি অনেকটা করেই বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ভাড়া দেওয়ার কাজে নিয়োজিত হবে। সেক্ষেত্রে আগামী এক বছরের মধ্যে আরও কিছু অফিস স্পেসের জোগান বাড়বে বলেই মনে করছে তারা। সেই জোগানকে সামাল দিতে নতুন করে চাহিদা কতটা চাঙ্গা হয়, এখন সেটাই দেখার।