উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
প্যারিস: দীর্ঘ ফুটবল কেরিয়ারে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে আটশোর বেশি গোল। জিতেছেন সাতবার ব্যালন ডি’অর। তবুও বাইসাইকেল-কিকে গোল না করার আক্ষেপ ছিল। অতীতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও সাফল্য মেলেনি। যা নিয়ে শুনতে হয়েছিল কটাক্ষ। তবে শনিবার পিএসজি’র জার্সিতে আক্ষেপ মিটল লায়োনেল মেসির। মরশুমের প্রথম লিগ ম্যাচে ৮৬ মিনিটে স্বদেশীয় সতীর্থ লিয়েন্ড্রো প্যারাসেডের ক্রস বুক দিয়ে রিসিভ করে বাঁপায়ের ব্যাক ভলিতে জাল কাঁপালেন আর্জেন্তাইন মহাতারকা। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভর করে ক্লেহমোঁ ফুটকে পাঁচ গোলের মালা পরাল পিএসজি। ম্যাচে জোড়া লক্ষ্যভেদের পাশাপাশি নেইমারকে দিয়ে গোলও করান মেসি। পিএসজি’র অপর দুই গোলদাতা আচরাফ হাকিমি ও মাকুইনহোস।
চোটের কারণে কিলিয়ান এমবাপেকে ছাড়াই শনিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে নামে পিএসজি। যদিও ফরাসি তারকা উইঙ্গারের অভাব বুঝতে দেয়নি মেসি-নেইমার জুটি। দলের পাঁচটি গোলের ক্ষেত্রেই অবদান রয়েছে তাঁদের। ন’মিনিটে মেসির পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেন নেইমার (১-০)। এরপর ২৬ মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলেন আচরাফ হাকিমি (২-০)। এবার তাঁকে গোলের জন্য বল সাজিয়ে দেন নেইমার। ৩৮ মিনিটে তাঁর ক্রস থেকেই হেডে লক্ষ্যভেদ মাকুইনহোসের (৩-০)। প্রথমার্ধেই কার্যত ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলে পিএসজি। তবে দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে চলে ‘মেসি শো’। ৮০ মিনিটে নেইমারের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে জাল কাঁপান ‘এলএমথাট্রি’ (৪-০)। আর মিনিট ছ’য়েক বাদেই বাইসাইকেল-কিকে সেই দর্শনীয় গোল (৫-০)। যা দেখে উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কোচ ক্রিস্টোফে গালতিয়ের।
ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ জানান, ‘এটাই লিও। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই। আমরা জানি ও কী করতে পারে। গত ১৭ বছর ধরে এই কাজটাই করে এসেছে। গত মরশুমটা মেসির ভালো যায়নি। তবে ও দ্রুত নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে। চেনা ছন্দে ফিরতে মেসি কতটা মরিয়া ছিল, তা প্রাক মরশুম প্রস্তুতি ম্যাচেই প্রমাণ মিলেছিল। শনিবারের ম্যাচে মাঝে মধ্যে বলের নিয়ন্ত্রণ হারালেও থেমে যায়নি। একই সঙ্গে নেইমারেরও প্রশংসা করতে হবে।’