বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
(মুনোজ- ২, সুহের, শুভ ঘোষ)
অভিজিৎ সরকার, কল্যাণী : মণিপুরের ক্লাব ট্রাউকে চূর্ণ করেই বুধবার আই লিগে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল মোহন বাগান। গোটা ম্যাচে সবুজ-মেরুনের প্রতিপক্ষ দলের কোনও প্রতিরোধই চোখে পড়ল না। ফলে অনায়াসেই চার গোল করল ভিকুনা-ব্রিগেড। এদিন জুলেন কলিনাসরা প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে লজ্জা আরও বাড়ত বিপক্ষ কোচ ডগলাসের। মোহন বাগানের জয়ের নেপথ্য কারিগর মিডফিল্ডার হোসেবা বেইতিয়া ও ফরোয়ার্ড জুলেন কলিনাস। এছাড়া আলাদা করে বলতে হবে জোড়া গোলের মালিক ফ্রান গঞ্জালেজ মুনোজের কথাও। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লিগ টেবলে চার নম্বরে উঠে এল মোহন বাগান। এক পয়েন্ট বেশি পেয়ে তিন নম্বরে ইস্ট বেঙ্গল।
বুধবার কল্যাণীতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নিশ্চিন্তে রক্ষণ সামলালেন মোহন বাগান ডিফেন্ডাররা। এরপর আই লিগে আর কোন ম্যাচে মোরান্তে-সাইরাসরা এমন সুযোগ পাবেন, বলা কঠিন। সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে সারাক্ষণ রাগে গজরাতে দেখা গেল ট্রাউয়ের টিডি ডগলাস। কোচিং লাইসেন্স নেই বলে তাঁর নাম এদিন টিম লিস্টেই ছিল না। ম্যাচের ৫ মিনিটে বেইতিয়ার কর্নার থেকে বক্সে ড্যানিয়েল সাইরাসের মাথায় লেগে বল ছিটকে এলে মুনোজ তা গোলে ঠেলেন (১-০)। ১১ মিনিটে জেসুরাজের মাইনাস থেকে কলিনাস পা ঠেকাতে পারলে ব্যবধান বাড়তে পারত। মোহন বাগান কোচ কিবু ভিকুনা প্রথম একাদশে ব্রিটোর জায়গায় খেলান জেসুরাজকে। ৩০ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন জেসুরাজ। পরিবর্তে নামেন শেখ সাহিল। আট মিনিট পরেই মোহন বাগানের দ্বিতীয় গোল। আশুতোষ মেহতার মাইনাস থেকে সুহেরের লক্ষ্যভেদ (২-০)। বিরতির এক মিনিট আগে ট্রাউয়ের লোকেন মিতেই একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে সরাসরি শট মারেন মোহন বাগান গোলরক্ষক শঙ্কর রায়ের হাতে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মোহন বাগানের তৃতীয় গোল। বেইতিয়ার ফ্রি-কিক পিছন থেকে ফলো করে দ্বিতীয় লক্ষ্যভেদ মুনোজের (৩-০)। এরপর নাওরেমের গোলমুখী শট ও ফ্রান মোরান্তের হেড গোলের নিশানায় ছিল না। বিপক্ষ রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নাওরেম বক্সে ঢুকে পড়লে তাঁকে ব্লক করেন ট্রাউ ডিফেন্ডার। দ্বিতীয়ার্ধে মোহন বাগান গোলরক্ষক শঙ্কর রায় দুটি ভালো সেভ করেন। প্রথমার্ধে চোট পাওয়ার পর ৬৫ মিনিটে বেইতিয়াকে তুলে নিয়ে ফৈয়াজকে নামান ভিকুনা। ৭১ মিনিটে সুহেরের জায়গায় শুভ ঘোষকে ব্যবহার করেন তিনি। ম্যাচের শেষপর্বে বিপক্ষ জাল কাঁপিয়ে কোচের আস্থার প্রতি মর্যাদা রাখেন শুভ (৪-০)।
ম্যাচের পর ভিকুনা বলেন, ‘শুভ গোলের গন্ধ বোঝে। ওকে পরে নামিয়েই ফল পেয়েছি কলকাতা লিগেও।’ উল্লেখ্য, বেইতিয়ার চোট গুরুতর নয়। এই জয়ের পর ভিকুনা আবার আই লিগ নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। ম্যাচের সেরা ফ্রান গঞ্জালেজ বললেন, ‘আমার গোল পাওয়ার থেকেও দলের জয় অনেক বড় ব্যাপার।’ এদিন ম্যাচের সেরা পুরস্কার নেওয়ার আগে গ্যালারি থেকে স্ত্রী ও পুত্রকে মাঠে ডেকে নেন মুনোজ। প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীরা আপত্তি জানালেও পরে তাঁর অনুরোধ রাখেন।
মোহন বাগান: শঙ্কর রায়, আশুতোষ মেহতা, ফ্রান মোরান্তে, ড্যানিয়েল সাইরাস, গুরজিন্দর কুমার, রোমারিও জেসুরাজ (শেখ সাহিল),হোসেবা বেইতিয়া (শেখ ফৈয়াজ), ফ্রান গঞ্জালেজ, নংডাম্বা নাওরেম, জুলেন কলিনাস, ভিপি সুহের (শুভ ঘোষ)।