কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
শনিবার ষষ্ঠ দফায় বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। ভোটাধিকার প্রয়োগে লাইনে দাঁড়াবেন উত্তরবড়া এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দা অনুপমা মণ্ডল বলেন, আমাদের অঞ্চল বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তর্গত। সেজন্য দামোদর নদ পেরিয়ে রেশন আনতে যেতে হয়। বর্ষার সময় নদের জল বেড়ে যায়। তখন রেশন আনতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম নৌকা পাওয়া যায় না। ফলে বন্যার সময় রেশন দেওয়া হলেও নদ পেরিয়ে তা আনতে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা থাকে না। বছরের অন্যান্য সময়ও নদ পেরিয়ে রেশন আনতে হয়। যাতায়াতে অনেক টাকা খরচ হয়।
এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করেছে। অথচ এই এলাকায় রেশন সামগ্রী বিলির স্লিপ দেওয়া হলেও তা আনতে সোনামুখী এলাকায় যেতে হয়। এলাকার আর এক বাসিন্দা বলেন, আমরা এই এলাকায় বসবাস করলেও প্রশাসনিক সমস্ত কাজকর্মের জন্য বাঁকুড়া জেলায় যেতে হয়। অথচ রাস্তার অপর পাশে বর্ধমান জেলা। নদ পেরিয়ে বাঁকুড়া জেলায় যেতে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এই সমস্যার অবসান দরকার। স্থানীয় বাসিন্দা নন্দলাল মণ্ডল বলেন, বর্ষায় বন্যা হলে আমরা বাঁকুড়া জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। শুধু বন্যা নয়, ভারী বৃষ্টি বা আবহাওয়া খারাপ থাকলে রেশন আনতে সমস্যা হয়। নৌকা চলাচল করে না। নৌকায় নদ পারাপার, টোটো ভাড়া সব মিলিয়ে ৩০-৪০টাকা খরচ হয়ে যায়। দুয়ারে রেশন পাওয়া গেলে এই সমস্যা হবে না। উত্তর বড়া এলাকায় রেশনের এই সমস্যা মেটানো দরকার। এলাকার বাসিন্দারা জানান, ভোটের প্রচারে আসা বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের রেশন নিয়ে সমস্যার কথা বলা হয়েছে। তাঁরা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর এই সমস্যা মেটানো হোক।