কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
বুড়োরাজ মেলা কমিটির পক্ষে বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবারে অতীতের বহু বছরের রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। ২৫ থেকে ৩০ হাজারের কাছাকাছি শুধু সন্ন্যাসী হয়েছে। মেলায় এবারে ভিড় বাড়বে বলেই আশা করছি।
পূর্বস্থলী ২ ব্লকের জামালপুরে বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বুড়োরাজের পুজোয় ফি বছর লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও নদীয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেও ভক্তরা আসেন। সঙ্গে বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে আসাটাও দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাম দা, ভোজালি, টাঙি থেকে শুরু করে বোমা পর্যন্ত নিয়ে আসেন ভক্তদের একাংশ। এমনই প্রথা চলে আসছে। তবে এবারও মেলায় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলায় বিভিন্ন জেলা থেকে কাতারে কাতারে মানুষ বাজনা সহকারে অস্ত্র নিয়ে মেলায় পুজো দিতে আসেন। এটাই ঐতিহ্য। কিন্তু মেলায় অস্ত্র প্রবেশ রুখতে চারটি জায়গায় চেক পোস্ট করা হয়েছে। ছাতনীর মোড়, সানঘোষ পাড়া, নিমদহ ঘোষ পাড়া, জামালপুর মোড় ও পলাশবেড়িয়া এলাকায় চেকপোস্টগুলি থাকবে। প্রতিটি চেকপোস্টে অফিসার মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি শুধু মন্দির চত্বরেই ১২টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। মেলা চত্বরেও ২৫টি সিসি ক্যামেরা রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। মোট ১২০০ পুলিস কর্মী মোতায়েন রাখা হয়েছে। তারমধ্যে ১১০ জন অফিসার পদমর্যাদার পুলিস থাকবেন। ৩ জন ডিএসপি পদমর্যদার অফিসার সবসময় নজরদারি চালাবেন। পাশাপাশি ৭ জন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন। ৪০ জন মহিলা পুলিস কর্মী থাকছেন। ৭ সেকশন র্যাফ মোতায়েন রাখা থাকছে মেলায় ঝুটঝামেলা রোখার জন্য। ২৫০ জন ফোর্স থাকছেন সর্বত্রই। তাছাড়া বাকি সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন।
পূর্বস্থলী রেলস্টেশন, ফেরিঘাটগুলিতেও পুলিস মোতায়েন করা হবে। যেহেতু ভাগীরথী থেকে জল নিয়ে পুজো দিতে আসেন ভক্তরা, তাই ভাগীরথীর ঘাটগুলিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী স্পিড বোট নিয়ে নজরদারি চালাবে। এছাড়া এসটিকেকে রোড ধরে প্রচুর মানুষ গাড়ি নিয়েও আসেন। তাই এসটিকেকে রোডে প্রতি বছর ব্যপক যানজট হয়। তাই এসটিকেকে রোডে প্রচুর দক্ষ ট্রাফিক পুলিস মোতায়েন থাকছে। পাশাপাশি পার্কিং জোন থাকছে। মেলায় গাড়ি নিয়ে ঢোকা যাবে না।
পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বুধবার মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে যান। তিনি বলেন, পুজো যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয় তারজন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।