কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
মামলার সরকারি আইনজীবী অজয় দে বলেন, ঘটনার বছরচারেক আগে হুগলির খানাকুল থানা এলাকার বাসিন্দা ময়না পালের সঙ্গে বরুণের বিয়ে হয়েছিল। বিয়েতে পাত্রপক্ষের চাহিদামতো পণ দেওয়া হয়েছিল। বরুণের সোনার গয়না তৈরির দোকান ছিল। বিয়ের চার-পাঁচ মাস পর সে দোকান তুলে দেয়। তারপর থেকে সে স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। মাঝেমধ্যেই ময়নাকে শ্বশুরবাড়িতে মারধর করা হতো। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি বাপেরবাড়িতে চলে যান। কিন্তু মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাপেরবাড়ি থেকে তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১০সালের ১৫আগস্ট সকালে ময়নার বাপেরবাড়িতে ফোন করে তিনি অসুস্থ বলে জানানো হয়। খবর পেয়ে বাপেরবাড়ির লোকজন শ্বশুরবাড়িতে আসেন। সেখানে তাঁরা দেখেন, বাড়ির সামনে কাঁঠাল গাছের নীচে ময়না ও তাঁর ১১ মাসের মেয়ের দগ্ধ দেহ পড়ে রয়েছে। মৃতদেহ দু’টির পাশেই একটি কেরোসিন তেলের বোতল, লাইটার ও দেশলাই পড়েছিল। ঘটনার দিনই ময়নার দাদা বাপ্পাদিত্য পাল মাধবডিহি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে বধূ নির্যাতন, খুন ও প্রমাণ লোপাটের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে থানা। পরেরদিন বরুণ ও তার মাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১০সালের অক্টোবরে তারা জামিন পায়। ঘটনায় বরুণের দাদা তরুণ দে-র নাম জড়ায়। কিন্তু, তিনি মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ যায়। তদন্ত সম্পূর্ণ করে ২০১১সালের ২৬ জানুয়ারি মাধবডিহি থানার পুলিস বধূ নির্যাতন, খুন ও প্রমাণ লোপাটের ধারায় আদালতে চার্জশিট পেশ করে। সরকারি আইনজীবী জানান, এই মামলায় ১০ জন সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীদের বয়ানে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।