কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
নতুন বিল্ডিংয়ের দোতলায় মেল ও ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ড। ওয়ার্ডের ভিতরে মেঝেতে রোগী তো আছেই। বারান্দার মেঝেতেও রোগী ভর্তি। তারমধ্যে দিয়েই রোগীর বাড়ির লোক, ডাক্তার, নার্স, হাসপাতাল কর্মী সবাই যাতায়াত করছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে ওয়ার্ডে রোগীর চাপ কমাতে এক সময় বিধানব্লকের এক তলায় জরুরি বিভাগকে তুলে নিয়ে গিয়ে অবজারভেশন ওয়ার্ড খোলা হয়। ঠিক হয় প্রথমে জরুরি বিভাগে রোগী এলে অবজারভেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করা হবে। প্রয়োজন হলে ওয়ার্ডে পাঠানো হবে। নয়তো সেখান থেকেই ছেড়ে দেওয়া হবে। সেই মতো শয্যাও পাতা হয়। কিন্তু কয়েকদিন চলার পর তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অবজারভেশন ওয়ার্ড অবশ্য খোলা আছে, কিন্তু সেখানে রোগী পাঠানো হয় না।
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই হাসপাতালে যেমন রোগীরা আসেন। তেমনই জেলার অন্যান্য হাসপাতাল থেকে রোগী রেফারও করা হয়। ফলে রোগীর চাপ থাকেই। অভিযোগ সেই তুলনায় শয্যার সংখ্যা বাড়েনি। আবার নজরদারিরও অভাব আছে বলে অভিযোগ। সুপার, ডেপুটি সুপার, সহকারী সুপার, নার্সিং সুপার, ফেসিলিটি ম্যানেজার থাকলেও নিয়ম করে ওয়ার্ড পরিদর্শন হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। কর্মীদের মতে, ঠিকমতো পরিদর্শন হলে সমস্যাগুলি জানা যায়। সমাধানও সম্ভব। হাসপাতালের এক আধিকারকি অবশ্য বলেন, মাঝে মাঝে দেখা হয়।
রোগীর পরিজনরা বলেন, মেঝেতে শোয়ার জন্য একটা চাদরও হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় না। বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হয়। নয়তো বাইরে থেকে পলিথিন কিনতে হয়। হাসপাতাল থেকে মেঝেতে পাতার জন্য এক চিলতে পিচবোর্ড অবশ্য দেওয়া হয়। এক রোগীর আত্মীয় অলোক দাস বলেন, ভিতরে যারা শয্যায় আছেন সেখানেও নিয়মিত চাদর বদল হয় না। শয্যা না থাকলে নার্স বা কর্মীরা মেঝে দেখিয়ে দিয়ে চলে যান। সেখানে নিজেদেরই থাকার ব্যবস্থা করতে হয়। আর এক রোগীর আত্মীয় শেখ বাবলু বলেন, মেঝেতে রোগীর সঙ্গে কুকুর, বেড়ালও শুয়ে থাকে। খাবার খেয়ে চলে যায়। একটু ঘুম এসে গেলে ব্যাগে বা পকেটে থাকা মোবাইল, টাকা খোয়া যাওয়াটা এখানে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।