কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কালনা বেগপুর পঞ্চায়েতের ধলেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা লালবাবু শেখ স্ত্রী তারমিনা বিবিকে (৫২) খুন করে খাটের নীচে লুকিয়ে রেখে ঘর বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার চিন্তা থাকলেও রাস্তায় মানসিক অনুশোচনা তাকে দগ্ধ করে। সটান সে চলে যায় কালনার পার্শ্ববর্তী নদীয়া জেলার নবদ্বীপ থানায়। থানা চত্বরেও কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে সোজা থানায় ঢুকে পুলিসের কাছে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করে। নবদ্বীপ থানার পুলিস প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেনি।
তারা কালনা থানায় ঘটনার কথা জানালে কালনা থানার পুলিস গিয়ে ঘর খুলে খাটের নীচ থেকে তারমিনা বিবির নিথর দেহ উদ্ধার করে। এরপর কালনা থানার পুলিস নবদ্বীপ থানায় গিয়ে লালবাবুকে গ্রেপ্তার করে কালনায় নিয়ে আসে। পুলিসের প্রাথমিক জেরায় স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তির কারণে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে সে জানায়। এই ঘটনায় মৃতার ছেলে টোটন শেখ বাবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে পুলিসের কাছে।
প্রেমিকাকে কাছে পেতে তার স্বামীকে খুনের ঘটনায় কালনা থানার পুলিস ধৃত প্রেমিক, প্রেমিকাকে বুধবার পিসি রিটার্ন পাঠাল কালনা আদালতে। ধৃতদের মধ্যে খুনের দিন মোবাইলে একাধিকবার কথোপকথন হয়েছে বলে পুলিস জানতে পারে। দু’জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।
উল্লেখ্য, কালনা বেগপুর পঞ্চায়েতের পাথরডাঙার বাসিন্দা মোর্শেদ শেখের সঙ্গে পাশের গ্রাম কর্পুরডাঙার মানিক মণ্ডলের বন্ধুর সম্পর্ক। সেই সুবাদে মোর্শেদের বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল মানিকের। এতেই মোর্শেদের স্ত্রী মনুরা বিবির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক গড়ে ওঠে মানিকের। পথের কাঁটা ছিল অভিন্ন হৃদয় বন্ধু মোর্শেদ। তাই সেই কাঁটা সরাতে ২২ সেপ্টেম্বর রাতে মানিক বন্ধু মোর্শেদকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নান্দাই উত্তর রামেশ্বরপুর গ্রামের খেতের মাঝে খুন করে। এই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্তে নেমে মৃতের স্ত্রী মনুরা বিবি ও মানিক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে।