কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর দুর্গাপুজো এলেই অপরাধমূলক ও দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ বেড়ে যায় শিল্পাঞ্চলে। পুজোর কয়েকমাস আগে থেকেই শহরের মানুষ আতঙ্কে থাকেন। তাঁদের দাবি, চুরি-ছিনতাইয়ের পাশাপাশি ডাকাতির মতো বড়সড় ঘটনাও ঘটে পুজোর আগেই। এর মধ্যেই একাধিক চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুর থানা, নিউ টাউনশিপ থানা ও কাঁকসা সহ অণ্ডাল থানা এলাকায় বহু বাড়িতে ও দোকানে চুরি হয়েছে। অণ্ডাল দুবচুরুরিয়া এলাকায় পেট্রল পাম্পে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় পুলিস সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক সপ্তাহের মধ্যেই দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলেছে। বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতির সুযোগে মহকুমা জুড়ে একাধিক বাড়িতে চুরি হয়েছে। বিধাননগর ও ডিটিপিএস এলাকায় দু’টি বাড়ির তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পুলিস দু’টি ঘটনায় দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করে চুরি যাওয়া সোনার গয়না সহ সামগ্রী উদ্ধার করেছে। তাই পুজোর আগে অপরাধ রুখতে ও অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিস প্রশাসন ইতিমধ্যেই শিল্পাঞ্চলজুড়ে প্রায় ৬০০-র অধিক সিসি টিভি ক্যামেরায় নজর রাখছে। দুর্গাপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কবি দত্ত বলেন, পুজোর আগে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে ওঠে প্রতি বছরই। অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিস-প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে ব্যবসায়ীরা সবসময় সঙ্গে রয়েছেন। তবে শহরের যেসব সিসি ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়ছে, সেগুলি দ্রুত মেরামতির প্রয়োজন।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, দুর্গাপুজোর আগে নিরাপত্তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি নতুন প্রজেক্ট করে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সিসি ক্যামেরার তালিকা নথিভুক্ত করে রাখা হয়েছে। কোনও এলাকায় কিছু ঘটলে সেখানকার নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ফুটেজ সংগ্রহ করে অপরাধীদের শনাক্ত করা হবে। নতুন করে গোপালমাঠ, কাদারোড় ও স্টিল পার্ক সহ বিভিন্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আমাদের কিছু কিছু এলাকায় সিসি টিভি বজ্রপাতে ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে গিয়েছে। সেগুলি মেরামতি করা হচ্ছে। নাকা তল্লাশি চলছে শহরে আসা-যাওয়ার রাস্তায়। পুজোর পরেও এই কড়া নজরদারি থাকবে দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ রুখতে।