কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
সরকারি আইনজীবী তাপস উকিল বলেন, একাধিক ধারায় অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি আসানসোল উত্তর থানার চাঁদমারি রেলপাড় এলাকার বাসিন্দা কিরণ হাজরা প্রতিবেশী একজনের বাড়িতে ঢুকে তাঁর নাবালিকা মেয়ের শ্লীলতাহানি করে। কেন প্রতিবেশী এমন ব্যবহার করল মা প্রশ্ন করতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে ১২ বছরের নাবালিকা। সে মাকে জানায় বছর খানেক আগে থেকে কিরণ পাশে থাকা অডিটরিয়ামের শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করছে। বারবার সে এই কাজ করেছে। বাড়িতে বললে খুনের হুমকি দিয়েছিল। এরপরই নাবালিকার বাবা আসানসোল উত্তর থানায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। কয়েকদিনের মধ্যেই পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষাতেও ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। দু’জন চিকিৎসক সহ মোট দশজন সাক্ষ্য দেন। অভিযুক্ত একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়। ৩৭৬(৩) আইপিসি ও ৬ পকসো ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছ’মাসের জেল। ৩৫৪ আইপিসি ও পকসো ৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য তিন বছরের জেল ও ৫০০টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাসের জেল। পকসো ১২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এক বছরের জেল ও ৫০০ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক মাসের জেল হেফাজত হয়েছে।