কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
সাহসরায় রাজবাড়ির দেওয়ালে স্থায়ী দুর্গা মূর্তি রয়েছে। কিন্তু, এখানে বিশেষত্ব হল গণেশ ও কার্তিক নেই। ওই মূর্তিকেই পুজো করা হয়। তবে রাজবাড়ির কুলদেবতা রাধা জিউর মন্দিরে রয়েছে প্রাচীন ধাতুর সর্বমঙ্গলার মূর্তি। প্রতিবছর দুর্গাপুজোর সময় প্রাচীন এই ধাতুর মূর্তিটিকেও রাজবাড়িতে নিয়ে আসা হয়। চারদিন পুজোর পর এই মূর্তিটি পুনরায় মন্দিরে নিয়ে রাখা হয়। দুর্গা প্রতিমা চিরস্থায়ী বলে এখানে ঘট বিসর্জনের প্রচলন রয়েছে। এছাড়াও দুর্গাপুজোর হাত ধরে রাজপরিবারে প্রাচীন আমল থেকে ‘খাঁড়া’ পুজোর প্রচলন রয়েছে।
লালগড় রাজপরিবারের সদস্য অনুপ সাহসরায় বলেন, আমাদের রাজপরিবারের পুজো প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো। মন্দিরের সর্বমঙ্গলা দেবীকে এনেও পুজো করা হয়। প্রতিবছর অষ্টমীর দিনে পুষ্পাঞ্জলি দিতে এখানে গোটা লালগড়ের মানুষ ভিড় জমান। রামকৃষ্ণ মিশনের বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে আমাদের এখানে পুজো হয়। কুমারী পুজো থেকে শুরু করে সব পুজোই হয়। করোনা পরিস্থিতির জন্য আমরা সবকিছু নিয়ম বিধি মেনেই পুজো করব। যে খাঁড়া পুজো করা হয়, তার একটি কাহিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শুনেছিলাম। জেনেছি, বর্গিরা আক্রমণের সময় আমাদের রাজারা এই খাঁড়া দিয়ে তাদের প্রতিহত করেছিল। বর্তমানে পুজো মণ্ডপ রং করার কাজ জোর কদমে চলছে। তবে লালগড় এলাকার মধ্যে সবচেয়ে জাঁকজমকের দুর্গাপুজো করে থাকে লালগড় সর্বজনীন কমিটি। এবছর এখানকার পুজো ৭১ বছরে পড়ল। করোনা পরিস্থিতির আগে পুজোর সময় প্রতিবছর এখানে কলকাতার নামী দামি অপেরার যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হতো। করোনা পরিস্থিতিতে আপাতত তা বন্ধ রয়েছে। লালগড়কেন্দ্রিক নেতাই, বীরকাঁড়, রাঙ্গামাটিয়া চামিটাড়া, বামাল, ঝিটকা সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে এই দুর্গাপুজার প্রচলন করেন। এই পুজো কমিটি সরকারি অনুদান পেয়ে আসছে। রাঙামাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা তথা লালগড় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহসভাপতি সুদীপ্ত মাহাত বলেন, লালগড় এলাকার মানুষ এই দুর্গাপুজো শুরু করেছিল। নতুন সরকার আসার পর এই কমিটি সরকারি অনুদান পাচ্ছে। এবার সাবেকি প্রতিমা হবে। বিশেষ কোনও থিম রাখা হচ্ছে না। করোনা নিয়মবিধি মেনেই এখানে পুজো হবে।
পুজো কমিটির সহ সম্পাদক স্বপন দাস বলেন, আমাদের প্যান্ডেল তৈরির কাজ জোর কদমে চলছে। আগে স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে প্রতিমা তৈরি করা হতো। কয়েকবছর হল মেদিনীপুর থেকে প্রতিমা আনা হয়। আগে পুজোর সময় বাউল, কলকাতার বিখ্যাত অপেরা দলের যাত্রপালা করা হতো। করোনা পরিস্থিতির জন্য সব বন্ধ রয়েছে। তবে পুজো প্যান্ডেলে এবার করোনা সচেতনতার প্রচার করা হবে।