শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ওই শ্রমিকরা ঘুর পথে লরিতে চেপে কোচবিহার যাবেন বলে আরামবাগে এসে ওঠেন। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওই শ্রমিকদের বাড়ি কোচবিহারের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। লকডাউন জারি হওয়ার মাসখানেক আগে তাঁরা রাজমিস্ত্রির কাজে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। লকডাউনে দীর্ঘ সময় সেখানে কাটানোর পর গত সপ্তাহে তাঁরা রাজ্যে ফেরার উদ্দেশে রওনা দেন। রশিদুল মিঁয়া নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক বলেন, মহারাষ্ট্র থেকে প্রথমে বাসে চেপে ছত্তিশগড়, তারপর সেখান থেকে ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে আসি। এরপর ঝাড়খণ্ড থেকে একটি ট্রাকে আমাদের তুলে দেয় সেখানকার পুলিস। সেই ট্রাকে চেপেই আরামবাগে এসে উঠেছি। কিন্তু, কীভাবে কোচবিহারের কোসলডাঙা গ্রামের ফিরব বুঝতে পারছি না। ঈদের দিনেও পরিবার-পরিজনের কাছে পৌঁছতে পারলাম না।
চোখের জল মুছে আর এক শ্রমিক শহিদুল মিঁয়া বলেন, বাড়িতে ছোট্ট দুই মেয়ে সোহানা ও সাহানাজ রয়েছে। ওরা ফোনে আবদার করেছিল, এবার ঈদে নতুন জামা নিয়ে ফিরতে হবে। কথা ছিল, ঈদের আগেই বাড়ি ফিরব। সেইমতো দুই মেয়ের জন্য নতুন পোশাক কিনেছি। কিন্তু, ন’দিন পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফিরতে পারলাম না। বাড়ি থেকে ফোনে মেয়ে শুধুই কেঁদে চলেছে। বাড়ি কখন পৌছব, বুঝতে পারছি না।