নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
প্রতিবছরই ধুমধাম করে তারাপীঠ মন্দিরের পাণ্ডা প্রণব চট্টোপাধ্যায় তাঁর সন্তান পার্থর জন্মদিন পালন করেন। এবার ছেলের ইচ্ছা জাগে হোমের আবাসিকদের মধ্যে দিনটি কাটানোর। সেইমতো রাতেই হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পরিবার। এদিন সকাল থেকেই ওই হোমেও ছিল সাজ সাজ রব। বেলুন ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল হোম চত্বর। ছোট ছোট আবাসিকরাও এদিন ছিল অন্য মেজাজে। দুপুরে ৫০ জন আবাসিককে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটল পার্থ। ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ’ নয়, সকলেই একসঙ্গে গাইল, ‘উই শ্যাল ওভারকাম’।
শুধু নিজের হাতে হোমের আবাসিকদের কেক খাইয়ে নয়, তাদের চেয়ার টেবিলে বসিয়ে ভাত, ডাল, আলুপোস্ত, মুরগির মাংস ও মিষ্টি পরিবেশন করল। আবাসিকরাও ভালো খাবার পেয়ে চেটেপুটে খেল। পার্থ বলে, স্টেশনে বা রাস্তাঘাটে প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো বা ভিক্ষে করতে দেখে খুব কষ্ট হয়। তখনই মনে হয়েছিল, কোনও একটা বিশেষ দিনে ওদের মতো ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাব। তাই এদিন হোমের আবাসিকদের নিয়ে জন্মদিন পালন করলাম। নতুন বন্ধুদের পেয়ে উচ্ছ্বসিত পার্থ বলছে, ‘আমার বন্ধুর সংখ্যা একলাফে অনেক বেড়ে গেল।’
হোম কর্তৃপক্ষ নুরুল ইসলাম বলেন, এই সমস্ত ছেলেমেয়েকে নিয়ে নিজের স্পেশাল দিন কাটানোর ভাবনা অনন্য। পার্থর জন্মদিনের আনন্দ এদিন ওরা চুটিয়ে উপভোগ করেছে।
প্রণববাবু বলেন, আমরা অনেকেই সামাজিক দায়বদ্ধতা ভুলে যাচ্ছি। স্বার্থপর হয়ে পড়ছি। যখন হোমের আবাসিকদের সঙ্গে জন্মদিন পালনের কথা বলল তখন ছেলের জন্য গর্ব অনুভব হচ্ছিল। এই দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকল।