কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাইকে নবদ্বীপঘাট-কৃষ্ণনগর রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে নবদ্বীপঘাটের দিকে আসা একটি অটো তাঁকে ধাক্কা মারে। তিনি রাস্তার ওপরে ছিটকে পড়েন। গুরুতর জখম হন। তাঁর মাথায় চোট লাগে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরেই ওই রুটে অটোচালকদের রেষারেষির জেরে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। কয়েকদিন আগে তিওরখালিতে দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনও দুর্ঘটনা ঘটার পর মাত্র দু’চারদিন পুলিসি তৎপরতা দেখা যায়। তারপর একই অবস্থা হয়। এদিন সকালে দুর্ঘটনার পর আমঘাটা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নবদ্বীপ ঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। দুর্ঘটনার পরেই অবস্থা বেগতিক দেখে অটোচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। উত্তেজিত জনতা তাঁকে তাড়া করে ধরে ফেলে। বেধড়ক মারধর করতে থাকে। স্থানীয় কয়েকজন মহিলা ওই অটোচালককে উদ্ধার করেন। তারপর অটোটিকে ভাঙচুর করে রাস্তার ওপরে উল্টে দেন এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তায় বসে অবরোধ শুরু করেন। অবরোধকারীরা বলেন, এখন থেকে যাতে বেপরোয়া অটোর গতি নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে পুলিসের পদস্থ কর্তারা এসে নিশ্চিতভাবে আশ্বাস দিতে হবে। যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। ঘণ্টা দু’য়েক অবরোধ চলার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কোতোয়ালি থানার আইসি। তাঁর আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। যদিও উত্তেজিত জনতা দাবি না মানা হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে, আহত ওই অটোচালককে স্থানীয় মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকেই কার্যত ভয়েই কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপ ঘাট রুটে অটো চলাচল বন্ধ করে দেন চালকরা। ওই রুটে আপাতত বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে। পুলিস অবশ্য আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। আহত বাইক আরোহী ফজলুর রহমান শেখের ভাই জুলহক শেখ বলেন, বেপরোয়া গতিতে অটো চালানোর জন্য মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। দাদার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিস যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কোনও স্থায়ী উদ্যোগ নিচ্ছে না। যদিও পুলিস জানিয়েছে, যান নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।