উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বোলপুর লোকসভার ফলাফলের নিরিখে ময়ূরেশ্বর বিধানসভায় এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। সেই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয়ে সোমবার বিকেলে এই বিধানসভার ঢেকা অঞ্চলের লোকপাড়া বাজারে প্রায় হাজার তিনেক কর্মী-সমর্থক নিয়ে বিজয় মিছিল বের করে বিজেপি। অভিযোগ, কিছুদুর মিছিল যাওয়ায় পর পিছনের দিকে বোমাবাজি করে তৃণমূলীরা। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিজেপির কর্মী সমর্থকরাও। তারাও লাঠিসোঁটা নিয়ে তেড়ে যায়। যার জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে একাধিক বাইক। বিজেপি কর্মীরা ফটিক বাইন নামে এক তৃণমূল কর্মীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে রামপুরহাট মহকুমা পুলিস আধিকারিকের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী এসে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। পরে বিজেপির হাতে আটক তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিস। অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর রাতে এলাকার দুই বিজেপি কর্মী সমর মণ্ডল ও সাগর ভল্লাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে পুলিস। এদিকে মিছিলের উপর বোমাবাজির ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল কর্মীদের নামে থানায় অভিযোগ করতে আসে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা দেখেন, ঘটনায় ধৃত দুই বিজেপি কর্মীকে কেস দিয়ে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হলেও বহাল তবিয়তে থানার ভিতরের পুলিস কর্মীদের সঙ্গে চেয়ারে বসে রয়েছে ধৃত তৃণমূল কর্মী। এরপরই বিজেপির নেতা কর্মীরা পুলিসের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। চাপে পড়ে ওই তৃণমূল কর্মীকে লকআপে ঢোকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
লোকপাড়ার বিজেপি নেতা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মিছিলের নিরাপত্তায় পুলিস ছিল। কিন্তু বোমাবাজি দেখে তারা ভয়ে পালিয়ে যায়। সেই সময় প্রতিরোধ গড়ে তুললে সংঘর্ষ বাধে। এক তৃণমূল কর্মীকে হাতেনাতে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দিই। অথচ ওই তৃণমূল কর্মী পুলিসের সঙ্গে চেয়ারে বসে গল্পগুজব করছে। আর আমাদের কর্মীদের কোর্টে চালান করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিসের এই পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধেই আমরা এদিন থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছি। যদিও এক পুলিস অফিসার বলেন, ধৃত ওই তৃণমূল কর্মীকে সারারাত লকআপে রাখা হয়েছিল। সকালে তাঁর মাথা ঘোরায় বাইরে বের করে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
এদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আশিস চন্দ্র বলেন, মিছিল থেকে কিছু বহিরাগত বিজেপি কর্মী আমাদের পার্টি অফিসের সামনের গ্রাউন্ডে ঢুকে পড়ে স্লোগান দিতে থাকে। পরে দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। প্রতিবাদ করতেই দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। অফিসের সামনে দাঁড় করানো প্রায় ২৫টি বাইকে ওরা ভাঙচুর করে। আমাদের দুই কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোমাবাজি বিজেপিও করেছে। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। রামপুরহাটের এসডিপিও বলেন, কোনও পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। দু’পক্ষের তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এলাকায় পুলিস মোতায়েন রয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। জুয়েলের খোঁজ শুরু হয়েছে।